ভারতের সামনে আজ টিকে থাকার লড়াই। গত সপ্তাহটা ওদের মোটেই ভাল যায়নি। পরপর দু’টো ম্যাচ হেরেছিল। ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে পৌঁছতে হলে এখন শেষ দু’টো ম্যাচ জিততেই হবে ভারতকে। আর দুঃস্বপ্নের এই সফর থেকে অন্তত কিছু একটা হাতে নিয়ে দেশে ফিরতে ওরা বেশ মরিয়া হয়ে আছে। শেষ দু’টো ম্যাচ জেতার মতো ক্ষমতা কিন্তু এই ভারতীয় দলের রয়েছে। এক ম্যাচের নির্বাসন কাটিয়ে ফর্মে থাকা অধিনায়ক ধোনির দলে ফেরাটাও ওদের পক্ষেই যাচ্ছে।
ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু হওয়ার সময় রোটেশন নীতি নিয়ে একটা বিতর্ক ছিলই। সেটা বাড়তে বাড়তে এখন ভারতীয় দলে ফাটল দেখা দিয়েছে বলেও চর্চা শুরু হয়েছে। ভারতীয় শিবিরের ভেতর থেকেই গুজব ছড়াচ্ছে। আমি কিন্তু মনে করি, এই ব্যাপারগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার একেবারেই কোনও দরকার নেই। একটা টিম খারাপ খেললে অবধারিত ভাবে এমন নানা কথা শুরু হয়। ভারত পরের দু’টো ম্যাচ জিতলেই দেখবেন এই সমস্ত গুজব রাতারাতি উবে গিয়েছে, তখন মিলিয়ে নেবেন আমার কথা।
ভারত এমন কিছু ভুল করছে যেগুলো শুধরে নেওয়া খুব সহজ। যেমন ওভার রেট। এর জন্য পুরো দোষ কখনওই ক্যাপ্টেনকে দেওয়া যায় না। দলের বাকি প্লেয়ারদেরও নিজের ফিল্ডিং পজিশনে সময়ে পৌঁছে যাওয়া, ওভারের মাঝে তাড়াতাড়ি নড়াচড়া করার দিকে মন দিতে হবে। এই সফরে ভারতের অসুখ হল ফোকাসের অভাব। প্রথমিক ব্যাপারগুলো ঠিক রাখায় ভারতীয়রা দায়বদ্ধতা দেখাচ্ছে না।
অস্ট্রেলিয়ার বড় সমস্যা বোলিং। টেস্ট সিরিজে একই বোলিং আক্রমণ কাজটা করে দিতে পেরেছিল। এক দিনের সিরিজে ফিটনেসের কারণেই বোলিং কম্বিনেশনে বদল করতে হচ্ছে। শনিবার শেষের ওভারগুলোয় অস্ট্রেলিয়া মোটেই ভাল বল করেনি। এই জায়গাটায় উন্নতি করতে হবে। তবে তিনটে দলের মধ্যে সেরা ফর্মে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। আমি আগেও বলেছিলাম যে, ওদের তিন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহেলা জয়বর্ধনে, কুমার সঙ্গকারা আর তিলকরত্নে দিলশান একসঙ্গে ব্যর্থ হওয়া সম্ভাবনা ক্ষীণ। গত শুক্রবার তো অসাধারণ খেলে দিল জয়বর্ধনের। ভারতের বিরুদ্ধেও দারুণ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। |