ভারতকে বাকি দুটো ম্যাচ জিততেই হবে। বিশেষ করে রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। পরপর দুটো ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে শ্রীলঙ্কা প্রমাণ করেছে, প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা মোটেও অপরাজেয় নয়। ভারতীয়রা এ বার নিজেদের বলুক যে, বিশ্বকাপ রানার্স যদি অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারে তা হলে আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়ে পারব না কেন? ওদের মনে রাখতে হবে সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার, সব রকম জল্পনায় ইতি টানার সেরা উপায় মাঠে পারফর্ম করা। জিতলে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। অস্ট্রেলিয়ার লম্বা সফরের শেষ দিকে পৌঁছেছে ভারত। সবাই একজোট হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার এটাই সেরা সুযোগ। এই পরিস্থিতি থেকে ভারত যদি ফাইনালে উঠে টুর্নামেন্ট জিততে পারে, তা হলে দেশে ফিরে ওরা প্রচুর প্রশংসা পাবে। বাকি সব পরিসংখ্যান ভুলে লোকে শুধু এটাই বলবে যে, বিদেশের মাটিতে নাটকীয় ভাবে ফিরে এসে ট্রফি জিতেছে ভারত। অস্ট্রেলীয় বোলিংয়ের কথা বাদ দিলে তিনটে দলের মধ্যে খুব বেশি তফাত নেই। শেষ কয়েকটা ম্যাচে অস্ট্রেলীয় বোলারদেরও সে রকম ধারালো দেখাচ্ছে না। হোবার্টের ব্যাটিং সহায়ক পিচেও শ্রীলঙ্কার পক্ষে ২৮০ তাড়া করা সহজ ছিল না। কিন্তু ওরা নিজেদের লক্ষ্য থেকে চোখ সরায়নি। মাঝের ওভারগুলোয় অস্ট্রেলীয় বোলিংকে দাঁত-নখহীন মনে হল। ম্যাচটা থেকে ভারত যেটা শিখতে পারে সেটা হল, শুরুর দিকে ভাল রান তুলে দিতে পারলে অস্ট্রেলীয় বোলিংও খেই হারিয়ে ফেলে। আর তখনই দিতে হবে নক-আউট পাঞ্চ।
সিডনিতে ভারতীয় দলের কম্বিনেশনটা যেন সঠিক হয়। সব বিভাগেই মেরামত দরকার। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে এই ম্যাচটাকে এমন ভাবে দেখতে হবে যেন এটার উপরই ওদের ভাগ্য নির্ভর করে আছে। রবিবার হারলে টুর্নামেন্ট থেকে ভারতের বিদায় প্রায় নিশ্চিত। সঙ্গে ক্রিকেটারদের বাদ দেওয়ার দাবি উঠবে, গুজবও উড়বে।
সিডনিতে মিডল অর্ডারও নতুন করে সাজানো দরকার। ইরফান পাঠান খুব ভাল খেলছে। অলরাউন্ডারের স্লটটায় রবীন্দ্র জাডেজার আগে ওকে ভাবা হতে পারে। বোলিং বিভাগের নেতৃত্ব দিতে হবে জাহিরকে। ওর সঙ্গে থাকুক বিনয় কুমার আর প্রধান স্পিনার হিসেবে অশ্বিন। ইরফান থাকায় সিডনিতে জোড়া স্পিন আক্রমণের কথা ভেবে দেখা যায়। আর মনোজ তিওয়ারিকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। মনোজ অনেক দিন অপেক্ষা করে আছে। বাকিরা যে ভাবে ব্যর্থ হচ্ছে, তার চেয়ে ও বেশি ব্যর্থ হবে বলে মনে হয় না। মনে রাখতে হবে, চাপের মুখে ভাল খেলে সেঞ্চুরি করেছে মনোজ।
রবিবারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ক্ষুধার্ত থাকবে। কারণ, সিডনিতে হারলে ওদের ফাইনালে ওঠাও কঠিন হয়ে যাবে। পরিস্থিতির চাপে হয়তো ওরা ভেতরে ভেতরে নড়বড়ে হয়ে আছে। সেটা কাজে লাগাতে হবে ভারতকে। |