এক জনের লক্ষ্য লন্ডনের ছাড়পত্র। আর অন্য জনের লক্ষ্য লন্ডন অলিম্পিকে ভাল ফল করে বিশ্বের প্রথম ছয় দলে থাকা।
প্রথম জন ভরত ছেত্রী। আর দ্বিতীয় জন মাইকেল নবস। প্রথম জন চার বছর আগেকার ভুলের পুনরাবৃত্তি আর করতে চান না। ব্রিটেনের কাছে হেরে সে বার বেজিং অলিম্পিক থেকে ছিটকে গিয়েছিল ভারতীয় হকি দল। তাই গ্রুপ লিগে ৬-২ গোলে হারালেও ফাইনালে ফ্রান্সকে মোটেই হাল্কা ভাবে নিতে রাজি নন ভরত ছেত্রীরা।
রবিবার জিতলে অলিম্পিক হকির ছাড়পত্র। সেই ম্যাচ খেলতে নামার আগে ভারতীয় দলের অধিনায়ক ভরত ছেত্রী কোনও রকম ঝুঁকি নিতে নারাজ। আজ আনন্দবাজারকে এক সাক্ষাৎকারে বলেই দিলেন “মানছি কানাডা বা পোল্যান্ডের মতো অত শক্তিশালী দল নয় ফ্রান্স। কিন্তু চার বছর আগেকার ভুলের পুনরাবৃত্তি আমরা হতে দেব না। আমরা আমাদের আক্রমণাত্মক খেলা ফাইনালেও চালিয়ে যাব। তার পাশাপাশি দল যাতে গোল না খায় সেটাও দেখব।” |
নিজেদের মধ্যে ফাইনালের আগে কী আলোচনা হয়েছে, সেটাও জানাচ্ছেন ভরত। “গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে আমরা ৩৬টা গোল দিয়ে খেয়েছি ৮টা। ক’টা গোল দিয়েছি সেটা কোচ দেখতে চান না। তিনি আজ দুপুরে আমাদের কাছে জানতে চাইলেন, কেন আমরা এতগুলো গোল খেলাম? এবং কেন পেনাল্টি কর্নার নেওয়ার সময় পুশ করা বল বক্সে ঠিকমত রুখতে ব্যর্থ হচ্ছিলাম? সেই ভুলগুলো অনুশীলনে আজ তিনি বারবার শুধরেও দিচ্ছিলেন।” তবে সন্দীপ সিংহ মাঠে থাকলে যে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে বিশেষ চিন্তার নেই তা গোটা টুর্নামেন্টেই বোঝা গিয়েছে।
ভারতের কোচ নবস কিন্তু শুধু রবিবারের ফাইনাল নয়, তিনি আরও বাড়তি কিছু চান। বিশ্বের প্রথম ছয় দলের মধ্যে জায়গা। পাশাপাশি কোচ ভালই জানেন, দলের ডিফেন্স এখনও সড়গড় নয়। সতর্ক কোচ এ দিন আনন্দবাজারকে বললেন “এখানে তেমন প্রতিপক্ষ না থাকাতেও দল কয়েকটি ম্যাচ চাপে পড়ে জিতেছে। ডিফেন্সের পাশাপাশি ফরোয়ার্ডরাও ভুল করেছে। এ ছাড়া কর্নারগুলো ক্লিয়ার করতে গিয়ে অযথা বেশি সময় নেওয়ায় দল বিপদে পড়ছে। এই ভুলগুলো আমাদের শুধরোতে হবে।” ভরত ছেত্রী-সহ দলের অনেকের কানেই এখন লন্ডনের ডাক বাজছে। সেই ডাকে ভারত সাড়া দিতে পারল কি না, তা জানার জন্য রবিবার রাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
|
পারলেন না মেয়েরা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
লন্ডন অলিম্পিকের টিকিট আদায় করতে পারলেন না ভারতের মেয়ে হকি খেলোয়াড়রা। প্রিঅলিম্পিকের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তাঁরা হারলেন ১-৩। দ্বিতীয়ার্ধে ০-৩ পিছিয়ে পড়ার পর ১-৩ করেছিলেন জসপ্রীত। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। |