প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় এ বার তিস্তা চুক্তি নিয়ে আশ্বস্ত করলেন বাংলাদেশকে।
সে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের ফাঁকেই প্রণববাবুকে তিনি ঢাকায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান। দু’দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রণববাবুর গুরুত্ব যে ‘অপরিসীম’, তা উল্লেখ করে খাতুন বলেন, “বাংলাদেশের তরফে তাঁকে ঢাকা সফরে যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেছি। উনি যাবেন। তবে দিনক্ষণ এখনও স্থির হয়নি।”
কাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকেও তিস্তা চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন খাতুন। প্রধানমন্ত্রী তাঁকে আশ্বস্ত করেন, “তিস্তা ও ছিটমহল হস্তান্তর নিয়ে সামান্য কাজ বাকি। শীঘ্রই তা হবে।” আজ প্রণববাবুর সঙ্গে বৈঠকেও মূলত তিনটি বিষয় তোলেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক, তিস্তার জলবণ্টন চুক্তি সই। দুই, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং তিন মুজিব-ইন্দিরা চুক্তির বাস্তবায়ন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আপত্তিতে মনমোহনের বাংলাদেশ সফরের সময় তিস্তা চুক্তি সই হয়নি। আজ মমতার আপত্তির প্রশ্নে খাতুন বলেন, “ও বিষয়ে মন্তব্য করব না। প্রণববাবু প্রবীণ রাজনীতিক। লোকসভার নেতা। সৌহার্দ্যপূর্ণ বাতাবারণে বৈঠক হয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, চুক্তি সম্পাদনের জন্য ভারত সব রকম চেষ্টা করবে।”
১৯৭৪ সালে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি কার্যকরের জন্য মনমোহনের সফরের সময়ই ছিটমহল হস্তান্তর নিয়ে চুক্তি হয়। এ বিষয়ে সংবিধান সংশোধন করতে বাজেট অধিবেশনে বিল আনা হবে বলে প্রণববাবু এ দিন খাতুনকে আশ্বাস দেন। সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে গত কালই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, মুর্শিদাবাদে বিএসএফের হাতে মারধরের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সমন্বয় বাড়াতে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিএসএফ-বিডিআর বৈঠক হবে। খাতুন এ দিন অজমের শরিফ দর্শনে গিয়েছিলেন। কাল দুপুরে ঢাকা ফিরবেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। |