মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারি করার কথা শিক্ষকের। কিন্তু পরীক্ষার সময়ে তাঁকে দেখা গেল পরীক্ষাকেন্দ্রের লাগোয়া একটি ঘরে প্রাইভেট টিউশন করতে! শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমানের বিদ্যার্থীভবন বালক বিদ্যালয়ে। শিক্ষকের নাম উদয়কৃষ্ণ দে। তিনি ওই স্কুলে ভূগোল পড়ান। স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর কাছে ঘটনার কারণ জানতে চেয়েছেন জেলা স্কুলসমূহের পরিদশর্ক আব্দুল হাই। তিনি বলেন, “ওই শিক্ষককে সাসপেন্ড করা উচিত ছিল। কিন্তু আমাদের বিভাগের নিয়ম মেনে তাঁকে প্রথমে ‘শোকজ’ করা হয়েছে। তার উত্তর দিলে স্কুলে বৈঠক ডেকে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, “মন্ত্রীর পক্ষে তো প্রত্যেক স্কুলে নজরদারি চালানো সম্ভব নয়। শিক্ষকদের নিয়োগপত্র দেয় স্কুলের পরিচালন সমিতি। তাই কোনও শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা সরকারের নেই। স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের নিয়ন্ত্রণ যদি সরাসরি সরকারের হাতে না থাকে, তা হলে এই ধরনের প্রবণতা ঠেকানো কঠিন।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি চৈতালি দত্ত বলেন, “এমন ঘটনার কথা আমার জানা নেই। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।”
স্কুলের প্রধান শিক্ষক ঈশ্বরচন্দ্র চন্দ্র বলেন, “অভিযোগ পাই, ওই শিক্ষক হাজিরা খাতা বা পরীক্ষার নজরদারি সংক্রান্ত নথিতে সই করে প্রাইভেট টিউশন করছেন। জরুরি দরকার পড়লে ডিউটির সময়ে এক জন শিক্ষক স্কুলের বাইরে যেতেই পারেন। কিন্তু তাঁকে আমার অনুমতি নিতে হবে। সেটা ওই শিক্ষক করেননি। তাই তাঁকে ‘শোকজ’ করা হয়েছে।” ওই শিক্ষক অবশ্য এর মধ্যে দোষের কিছু দেখছেন না। তিনি বলেন, “আমি দীর্ঘ দিন ধরেই ঘরটিতে প্রাইভেট টিউশন করি। আজও করছিলাম। এতে অন্যায় কী?” কিন্তু স্কুলে হাজিরা খাতায় সই করে এ ভাবে কী টিউশন করা যায়? শিক্ষকের জবাব, “হাজিরা খাতায় সই করিনি তো!” |