|
|
|
|
|
|
|
আমি তো তোমাকেই খুঁজছিলাম
প্রদীপ মুখোপাধ্যায় |
|
সিমলার চোরবাগানের ছেলে আমি। সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা জীবনকে খুব নিচু থেকে দেখার অভিজ্ঞতা, আজ অবধি জীবন সংগ্রামে ভাসতে ভাসতে রবিবারগুলো হয়ে গিয়েছে মর্যাদাহীন। এই হেলাফেলার মাঝে একটি রবিবারের দ্যুতি আমার সারা জীবনের উজ্জ্বল এক অনুভূতি হয়ে বেঁচে আছে। সে কথায় পরে আসছি।
হেয়ার স্কুলে পড়াশোনা করেছি। রবিবারের ছুটিতে কোনও বাড়তি পাওনা ছিল না। সংসারে মা-ই রান্নাবান্না করতেন। না, তেমন কোনও স্পেশাল আইটেম জুটত না। বাবা ছিলেন নিতান্ত ভাল মানুষ গোছের, তাই বোধ হয় পরিবারে আর্থিক স্বচ্ছলতার ছবিটাও বিশেষ দেখা যেত না।
সময়ের নিয়মে স্কুলের গণ্ডি শেষ করে ঢুকলাম কলেজে। সিটি কলেজে নাইট ক্লাস করতাম। সকালে অভিনয়ের তালিম নিতাম। বিভিন্ন নাটকের দলের সঙ্গে কাজ শুরু করলাম। তপন থিয়েটারে অভিনয় করেছি নিয়মিত, তবে এর পরই একটা চাকরি নিতে হল। একই সঙ্গে আইন পড়তে শুরু করলাম। আমার রবিবারগুলো নোঙরবিহীন দারিদ্রতা ঘোচাতেই কেটে চলল। অবসর কোথায়? অবকাশও ছিল না। শুধু কাজ আর কাজ। |
|
সত্যজিৎ রায়ের ‘জন অরণ্য’ ছবিতে সুদেষ্ণা দাসের সঙ্গে। |
সত্তরের দশকের গোড়ায় বেশি কিছু রবিবার কেটেছিল ‘লম্বকর্ণ পালা’ নাটকের রিহার্সালে। বড় বড় শিল্পীদের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ হল। রবিবারে বেশির ভাগ থাকত ডবল শো।
এমনই স্বপ্নবিলাসের মাঝখানে মোড় ঘুরিয়ে দিল এক শীতের রবিবার। সেই রবিবারের স্বাদ-গন্ধ নিয়ে দিব্যি কেটে যাচ্ছে আজও। মুখচোরা স্বভাবের ছিলাম কিছুটা, তবু হঠাৎ করেই প্রচণ্ড সাহস সঞ্চয় করে চলে গেলাম বিশপ লেফ্রয় রোডে। সেটা ছিল ডিসেম্বরের একটা রবিবার। সালটা ছিল ১৯৭৪। আমি তখন ‘নক্ষত্র’ দলে নিয়মিত অভিনয় করছি। দরজায় ডোর বেলের শব্দ শুনে বেরিয়ে এলেন লম্বা ছিপছিপে গড়নের এক ব্যক্তি। ‘কাকে চাই’? বললাম শ্রী সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে একটু দেখা করতে চাই। আমার নামটা জেনে ভেতরে চলে গেলেন। মুহূর্তের মধ্যেই বেরিয়ে এলেন মানিকদা। আমাকে দেখেই শিশুর মতো আহ্লাদিত হয়ে বলে উঠলেন, ‘আরে আমি তো তোমাকেই খুঁজছিলাম, কোথায় ছিলে এত দিন?’
ঘরে নিয়ে গেলেন। মানিকদা নতুন অভিনেতার সন্ধানে বিভিন্ন নাটকের শোতে হানা দিতেন। সে ভাবেই কোনও এক রবিবারের শোতে ‘নক্ষত্র’ দলের নাটক দেখেছেন। আমি ব্যাপারটা জানতাম না।
‘জন অরণ্য’ ছবির নায়কের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন। মেন প্রোটাগনিস্ট স্ট্রাগলার, আছে খানিকটা রোমান্সও। সে দিন লক্ষ করেছিলাম মানিকদা খুব শীতকাতুরে। আমার সঙ্গে র্যাপার জড়িয়ে কথা বলছিলেন। |
|
শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের ‘দৌড়’ ছবিতে সন্ধ্যা রায়ের সঙ্গে। |
এর পরের ঘটনা অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত। মানিকদা জানতে চেয়েছিলেন কোনও কাজটাজ করি কি না। ফ্যাক্টরিতে করি শুনে পরের দিন অর্থাৎ সকাল আটটায় এসে দেখা করতে বললেন। ঠিক সময়ে পৌঁছে গিয়েছিলাম মানিকদার তত্ত্বাবধানে সেই আমার অভিনয় জীবনের প্রকৃত পাঠ শুরু হল। অভিনেতাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিতেন, একই সঙ্গে চরিত্রটির মধ্যে ঠিক কোনও উপাদানগুলি উনি চাইছেন সেটাও খুব স্পষ্ট করে বলতেন। সংলাপের মাঝে পজ থাকত অনেকটা, ফলে অভিনয়ের সুযোগ থাকত সীমাহীন। নীরব অভিনয় ওঁর ছবিতে একটা বিশিষ্টতা পেত। তবে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে নায়ক হয়েও থেমে থাকেনি আমার জীবনযুদ্ধ।
এক একটা রবিবার মানিকদা ডেকে পাঠাতেন বাড়িতে। যেতাম। খাওয়াদাওয়া-আড্ডা সে এক জমজমাট স্মৃতি। এমনকী মৃণালদার বাড়িতেও এক আধটা রবিবার গল্পটল্প হত। মৃণালদা ঠাট্টা করে বলতেন, আমার নায়করা সব কালো, তুমি তো সাদা তাই আমাকে নিয়ে কাজ করা হল না ওঁর। আমারও আক্ষেপ থেকে গেল।
এ সবের ফাঁকেই ’৭৭ সাল নাগাদ বিয়ে করি। আমার স্ত্রী রান্নাবান্না, খাবার পরিবেশনে বেশ পটু। বিয়ের পর হানিমুন তো দূরের কথা কাছাকাছি কোথাও যেতে পারিনি। সপরিবারে প্রথম বেড়ানো ১৯৮৯ সালে দার্জিলিং। শুনে অবাক হবে অনেকই। তবে একটা আধটা রবিবার ছেলেমেয়েদের নিয়ে কেনাকাটা করতে বেরোতাম। দু’এক বার বাইরেও খেয়েছি, তবে সবই খুব হাতে গোনা।
রোমান্টিক নায়ক ছাড়াও বেশ কিছু চরিত্রে কাজ করেছি। ভাল লেগেছে বাবুর (সন্দীপ রায়) সঙ্গে কাজ করে। ‘বাক্স রহস্য’ ছিল টেলিছবি। জটায়ু ছিলেন রবি ঘোষ। শিমলাতে আউটডোর শুটিং হয়েছিল। মনে আছে শেষ দিন একটা ঘটনার কথা। দুপুরের মধ্যেই প্যাক আপ হয়ে গেছিল। লাঞ্চ আসার কথা ছিল পাঠানকোট থেকে। কিন্তু কী একটা কারণে লাঞ্চ আর আসেই না। রবিদা তো অধৈর্য হয়ে উঠেছেন, আমার সবার মতো পেট চুঁইচুঁই। শেষে গোটা ইউনিট নিয়ে বাবুই রওনা হল পাঠানকোটের দিকে। পথে বাস থেকে চায়ের দোকানে নেমে চা আর বিস্কুট পেলাম। ওই খেলাম গোগ্রাসে।
আজকের রবিবারগুলো কাজেই কাটে। বিশেষ করে এই ইয়ার এন্ডিং-এর সময় বেশ চাপ থাকে। ট্যাক্স কনসালট্যান্ট বলে রবিবারও ছুটি নেই। ফাইলপত্র নিয়ে তিন তলার অফিস ধরে কাটিয়ে দিই ঘণ্টার পর ঘণ্টা। চা জলখাবার নীচে থেকে চলে আসে, আমার স্ত্রী সংসারের খুঁটিনাটি নিয়ে কোনও দিনই আমাকে বেশি ভাবতে দেননি। যেমনটা দিতেন না আমার মা। |
আমার প্রিয়
লেখক: বিমল কর, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু, রবীন্দ্রনাথ
অভিনেতা/অভিনেত্রী: প্রমথেশ বড়ুয়া, উত্তমকুমার, ছবি বিশ্বাস, স্মিতা পাটিল
গান: অতুলপ্রসাদ, রজনীকান্ত, প্রচলিত শ্যামাসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত
গায়ক: ইরফাত আরা খান,
অজয় চক্রবর্তী
অবসর: সেটা কী রকম জানি না |
|
রবিবারে ফাঁক পেলে গল্প বই পড়ি। তবে আর একটা নেশা আজকাল পেয়ে বসেছে, সেটা হল লেখার অভ্যাস। ফাঁক পেলেই বা মনে কোনও জিনিস নিয়ে চিন্তা এলেই খাতা-কলম নিয়ে বসি। শখ করে কিছু গল্প লিটল ম্যাগাজিনে বের করেছে আমার বন্ধুবান্ধবরা।
শীতের একটা রবিবারের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি, সেটা হল হেয়ার স্কুলের আমাদের ব্যাচের একটা ইয়ারলি গেট টুগেদারের জন্য।
সম্প্রতি মেয়ের বিয়ে দিয়ে অনেকটা ঝাড়া-হাত পা। ছেলেও থাকে আমারই সঙ্গে। এক একটা রবিবার পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে এলাকা নিয়ে আলাপ-আলোচনাও করি। আসলে জন অরণ্যে আমি নিজেকে মিশিয়ে দিয়েছি।
|
সাক্ষাৎকার: অরুন্ধতী মুখোপাধ্যায়
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
|
|
|
মুখ খোলার, গল্প করার, গলা ফাটানোর নতুন ঠিকানা চারিদিক থেকে কানে আসা
নানা কথা নিয়ে আমরা শুরু করে দিলাম। এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার আপনাদের |
• ভারতীয় ক্রিকেট দলের অবস্থা এখন অনেকটা হৃতগৌরব সেই পরিবারের মতো, যেখানে সব সদস্যই পিতামহের সেঞ্চুরির আশায় বসে থেকে থেকে নিজেরাও অকালবৃদ্ধ হয়ে পড়ছে!
দময়ন্তী পাল। বারাসাত
• সহবাগ ইদানীং বড্ড বেশি খোঁচা মারায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বলেও খোঁচা, ধোনিকেও খোঁচা। এর চেয়ে একটু আগের মতো সপাটে মারলে সব ঝামেলায় বাউন্ডারি পার হয়ে যেত।
পল্টন গুপ্ত। ঢাকুরিয়া
• ব্রিগেডে বামফ্রন্টের মিটিংয়ে জনজোয়ার দেখে সিপিএমের গান: আমার ভাটির তরী আবার যেন উজান যেতে চায়!
রুক্মিনী। বাঘেরখোল
• ক: আমাদের নির্বাচনী সিস্টেমটা পুরো গোলমাল।
খ: কেন?
ক: দিদিকে বিরোধী হিসেবেই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়ী ঘোষণা করা উচিত ছিল। তা হলে সব ঠিক থাকত।
মহম্মদ আলিমুদ্দিন। সিউড়ি
• নির্বাচনের পরে তৃণমূল যে আত্মনিয়ন্ত্রণ দেখিয়েছিল তা সত্যিই প্রশংসনীয়! কিন্তু আট মাস পরে লোকের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ায় দল বোধ হয় ইনসিকিয়োর হয়ে উঠেছে। তাই খুনোখুনি শুরু হয়ে গেল। আসলে বয়স হল, সত্তর দশক দেখেছি, ঘর পোড়া গরু। ভয় করে।
দেবব্রত অধিকারী। বেঙ্গালুরু
• রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জ্ঞানেশ্বরী কাণ্ড থেকে শুরু করে পার্ক স্ট্রিট পর্যন্ত সমস্ত রহস্য যে ভাবে ফট করে সমাধান করে দিচ্ছেন, তাতে এই মাগ্যিগণ্ডার দিনে একগাদা পয়সা খরচা করে গোয়েন্দা বিভাগ পোষার কোনও মানেই হয় না!
পি ভদ্র। বিরাটি
• বুদ্ধবাবু খুব একটা ঠিকঠাক কথা বলার জন্যে বিখ্যাত নন, তবে এ বারের ব্রিগেডে উনি ‘এক জনের সরকার’ কথাটা বোধ হয় ঠিকই বলেছেন। বুদ্ধবাবুর গৌতম-বিমান-লক্ষ্মণ-ইত্যাদি বাহিনী ছিল!
ঈশানী সেন। শ্রীপল্লি
• ক: পশ্চিমবঙ্গের খেলাটা কিন্তু আসলে উত্তরপ্রদেশে খেলা হচ্ছে!
খ: সে আবার কী?
ক: আরে দেখ না, ফল বেরোলে কংগ্রেস তৃণমূলকে কেমন মোলায়েম ভাবে দেবে!
প্রদীপ সাহা। মেটিয়াবুরুজ
• স্যাফ আলি খান প্রমাণ করিলেন, যে তিনি মোটেও ‘সেফ’ নন।
কাজী পারভেজ। হরিণঘাটা
• দিদি, আমরা কিন্তু বাঁচতে চেয়েছিলাম?
অনুপম। শেওড়াফুলি
|
|
|
|
হোটেল তাজমহল। রেস্তোরাঁ দামি।
টেবিলেতে দল বেঁধে তারকারা নামী।
ভাবখানা, করবই যা আমার খুশি।
প্রতিবাদ করলেই কিল-চড়-ঘুঁষি।
ঘুঁটে মালা হেঁকে কয়, ‘অব উই মিট’
এই জুড়ি পুরোপুরি সুপা-ডুপা হিট!
গলাটি বাড়ান, স্যাফ আলি খান |
|
|
|
ঊর্মিমালা বসু |
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। গরমের দুপুর দুটো-আড়াইটে হবে, প্রাণ আইঢাই। পাইকপাড়া অঞ্চলে একটি সরকারি ব্যাঙ্ক প্রয়োজনীয় কাজ সারতে গেছি। দোতলায় সিঁড়ি দিয়ে উঠে পাসবুক আপডেট করাতে হয়। সিঁড়ির মুখেই দেখা হল, ধপধপে সাদা ধুতি আর গিলে করা পাঞ্জাবি পরা ছোটখাটো বয়স্ক মানুষটির সঙ্গে প্রতিটি ধাপে দু’পা রেখে রেখে সিঁড়ি দিয়ে উঠছেন। খুব তাড়া ছিল, পাশ দিয়ে ওঠার সময় হাত বাড়িয়েও এই বয়সের মানুষদের স্বনির্ভরতার একটা মর্যাদা বোধ থাকে বলে সাহায্য না করেই উঠে গেলুম।
বিশাল লাইন, অন্তত সতেরো জনের পরে আমি। ব্যাঙ্কটি তখনও এসি নয়। সবাই গরমে বিপর্যস্ত। এক সময় লক্ষ করলুম সেই ভদ্রলোক ওপরে এসে চওড়া কাঠের বেঞ্চিতে বসে হাঁফাচ্ছেন। লাইন শম্বুক গতিতে এগোচ্ছে। তখনও জনা চারেক বাকি। আমার একটু আগে এক জন সুস্মিত, ঋজু, প্রৌঢ়া ডিগনিটির কারণে চোখ টানছিলেন। ডান দিক থেকে অনুচ্চ হইচই শুনে চোখ ফিরিয়ে দেখি, বেঞ্চে বসা বয়স্ক মানুষটি মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন। আমার কাছে জল ছিল, দৌড়ে মুখে মাথায় জল দিচ্ছি, লাইনে দাঁড়ানো সেই মহিলাও আমার পাশে। বিড়বিড় করে বলছেন, ‘এত বলি, যদি একটু কথা শোনে!’ বললাম, আপনার কেউ হন? ততক্ষণে ভদ্রলোক চোখ চেয়েছেন, উঠে বসবেনই। আদ্দির পাঞ্জাবি জলে ভেজা, ভদ্রমহিলা আঁচল দিয়ে মুখ, মাথা মুছিয়ে দিচ্ছেন আপাত শান্ত বয়স্ক শিশুটির। আমার প্রশ্নের উত্তর দিলেন তিনি, ‘আর বলবেন না, ওঁর ৮৭, আমার ৮০, পেনশনের টাকাটা তো তুলতে হবে, ছেলেরা বাইরে। এত রোদ্দুর, বারণ করলাম কত, ঠিক পেছন পেছন চলে এসেছেন।’ ভদ্রলোককে বললাম, কথা একটু শুনতেই পারেন তো! রাস্তায় পড়ে গেলে কত কষ্ট হত। ভদ্রলোক আপনমনে, ‘না, আসব না? দু’দুটো স্ট্রোক হয়ে গেছে ওর, রাস্তাতেই... আমি সঙ্গে না এলে ওকে দেখবে কে?’ বাকরুদ্ধ আমি, কোনও রকমে তখন চোখের জল সামলাচ্ছি! এই পারস্পরিক নির্ভরতা দু’জনকে জড়িয়ে বাঁচা। এই ভালবাসা লতাগাছটির মতোই বুড়োয়, মুড়োয় না। |
|
|
সব খুনি এই নামে খ্যাত হোক,
ওরা সিপিএমের লোক: মলয় ঘটক!
অলোকরঞ্জন বসু রায়চৌধুরী, পূর্ব পুঁটিয়ারি |
|
|
|
ক্ষমা করিনি |
|
স্বামীর মৃত্যুর পর কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে চাকরি পেয়ে একমাত্র মেয়ে নিয়ে নারীবাদী মহিলার সংসার। সিক্সে পড়া মেয়ের প্রাইভেট টিউটর হল আমার ছেলে। মেয়ে একটু বড় হতেই ছেলেকে বলেছিলাম টিউশনি ছেড়ে দে। প্রগতিশীল মহিলা পরিবর্তে টিউশনি ফি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিল। স্বল্পবাস উদ্ধত প্রকৃতির মেয়েকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করত। এক দিন মহিলা ভগ্নিপতিকে দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাল। আসলে মেয়েকে চিরকাল কাছে রাখার চালাকি প্লাস ছেলেকে বিনা পয়সার চাকর হিসেবে কাজে লাগাতে চেয়েছিল। যা হোক, এমন নোংরা প্রস্তাবে আমরা রাজি না হওয়ায় থানায় ঘুষ দিয়ে ছেলের বিরুদ্ধে নাবালিকা মেয়েকে প্রেমের উস্কানি দেওয়ার ডাইরি করল। এক দিন রাত ১টার সময় পুলিশ ঘর থেকে ছেলেকে থানায় নিয়ে গেল। হাজতবাস, গালাগাল, চড়থাপ্পড় সব খেতে হল। মিশনের প্রথম শ্রেণির ছাত্র, তার কেরিয়ার মাটিতে মিশে গেল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
উত্তর ২৪ পরগনা |
|
ই মেল-এ অথবা ডাকে, চিঠি পাঠান।
ই-মেল: chirkut.rabi@abp.in
চিঠি: চিরকুট, রবিবাসরীয়,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১
|
|
|
|
|
|
|