রোজনামচা
রাজ রায়চৌধুরী
ছোট্ট তিতির বড়ই বোকা
মিষ্টি করে হাসে,
স্কুলের পথে রোজ ফেলে যায়
টিফিন বাক্স বাসে।
পুচকে পুকাই বড়ই পাকা
লজেন ভালবাসে;
দেখলে খাবার যায় এসে জ্বর
দুধ খাবে না গ্লাসে।
মামণি ফের ভীষণ রেগে
বিষম খেয়ে কাশে।
হোমটাস্কে ফাঁকি দিলেই
চেঁচায় উর্ধ্বশ্বাসে।
বাপি এসেই অঙ্ক করায়
মাইনাসে আর প্লাসে।
আন্টি স্কুলে ধমক লাগায়
ফাঁকি দিলেই ক্লাসে।
কী আর করে পুকাই তিতির
স্কুলে যায় আর আসে,
ভাল্লাগে না দিনগুলো যায়
একঘেয়েমির গ্রাসে।
সকাল হলেই রোজের রুটিন
মুখ ধোয়া সেই ব্রাশে,
তার চে’ বরং রাতই থাকুক
দিন যেন না আসে। |
ABABCDCDEFEFGG*
রংগন চক্রবর্তী
গাছগুলো ভোরবেলা মুখ মাথা ধুA
ঝেড়ে ফেলে জমে ওঠা যত হাবিজাB
জানালায় ঘুম চোখে আধখানা শুA
দিনভর আমি শুধু কত কিছু ভাB
বাঙালেরা লুচি খেয়ে বলে খাই লুC
বস্তির ফুটপাথে খেলছে কাবাD
বেড়ালের বাচ্চারা ইংলিশে পুC
রাবড়িকে কারা যেন ডেকেছে রাবাD
আমার কোলের পরে পড়ে আছে বE
কিছুই পড়িনি খুলে আধ ঘুমে স্রেF
ঠাকুমার ডাক শুনি, কই দাদু কE
টিভি খুলে দেখি রাঁধে গোঁফওলা শেF
এই ভাবে সারা দিন আমি খুব বিG
তোমাকেও বলি তাই, টেক ইট ইG
|
* শেক্সপিয়ারের সনেটের অম্ত্যমিলের নিয়ম
একেবারে অক্ষরে অক্ষরে মেনে লেখা |
দেশ
দেবাশিস বসু
আমি লিখব ঝরনা-পাহাড় আমি লিখব বৃষ্টিধারা
বুকের ভিতর সুখের নদী জাগছে দেখি মোহর পাড়া
আমি ছুটব সবুজ দেশে আমি খুঁজব পাতার বাড়ি
শাল-পিয়ালের বনটি কোথায় মনটি আমি মেলতে পারি
আমি আঁকব পরাগ রেণু আমি আঁকব শিরীষ পাতা
আমি রাখব চোখের ভিতর রাত জাগা ভোর গানের খাতা
আমি বাইবো সপ্তডিঙা আমি লিখব জোড়াসাঁকো
এ দেশ আমার এ দেশ তোমার ছবির কোলাজ জুড়তে থাকো। |
আকাশ ডাকে
নীলানাথ দাস
গ্রীষ্মকালে গা-টা জ্বলে, বর্ষা রোমান্টিক,
দুই ঋতুতেই পড়ায় আমার মন বসে না ঠিক।
শরৎ? সে তো বিশেষ ঋতু উৎসবেরই রানি,
তার মধ্যে রাখা কি যায় পড়ার বাধাখানি?
হেমন্তে খেত সোনায় ভরা, চার দিক ঝলমল,
পড়ব কী আর, যাবি নাকি খেলার মাঠে চল।
শীতের কিন্তু অন্য আমেজ, পিঠেপুলির পালা,
পড়ার কথা বলে কেন, করিস ঝালাপালা?
বসন্তে রং সবার মনে, আমারও ঠিক তাই।
করব পড়ে নষ্ট সময়? আকাশ ডাকে, যাই। |
|