নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বছর দু’য়েক আগে তোলা মিড ডে মিলের টাকার হিসাব না-দেওয়ায় প্রাক্তন ৫ বাম কাউন্সিলর-সহ ৭ জনকে চিঠি পাঠিয়েছেন পুর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার পুরসভার তরফে চিঠি দিয়ে ৫ মার্চের মধ্যে হিসাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে। অভিযোগ, ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ৭ জন কাউন্সিলর ওয়ার্ডের স্কুলগুলির জন্য মিড ডে মিলের টাকা অগ্রিম তোলেন। অক্টোবর মাসে মিড ডে মিলের টাকা তোলেন তৎকালীন আরও দুই বাম কাউন্সিলর। আরএসপি এবং তৃণমূলের দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর খরচ না-হওয়া টাকা ফেরত দিয়েছেন। বাকিরা শংসাপত্র বা খরচ না হওয়া টাকা ফেরত দেননি। স্নিগ্ধা হাজরা, ক্ষুদিরাম রায়, দ্বিগেন্দ্রনাথ সরকার, জয়ন্ত মৌলিকদের মতো প্রাক্তন বাম কাউন্সিলরদের একাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা ওই টাকার হিসাব দিয়ে দিয়েছেন। এতদিন পরে ফের কেন তা চাওয়া হচ্ছে বুঝতে পারছেন না। যাঁরা দেননি তাঁরা অবশ্য শীঘ্রই হিসাব দিয়ে দেবেন বলে জানিয়েছেন। পুরসভার শিক্ষা বিভাগের দায়িত্বে থাকা মেয়র পারিষদ তথা ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা বলেন, “মিড ডে মিলের টাকার হিসাব না দেওয়ায় ৭ জন প্রাক্তন কাউন্সিলরকে পুরসভার তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা যে টাকা তুলেছিলেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তার হিসাব না দিলে আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ৭ জন প্রাক্তন কাউন্সিলর মিড ডে মিলের প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার হিসাব দেননি। তৎকালীন মেয়র বর্তমানে বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম বলেন, “স্কুলগুলির জন্যই কাউন্সিলরদের মিড ডে মিলের টাকা তুলতে হয়েছে। ওই বাড়তি দায়িত্ব কাউন্সিলররা নিতে চাইতেন না। মিড ডে মিলের জন্য আমাদের প্রাক্তন কাউন্সিলর যাঁরা হিসাব দেননি তাঁরা শীঘ্রই তা দিয়ে দেবেন। অনেকে হিসাব দিয়েছেনও।” ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলর সুশীল রায়, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি’র প্রাক্তন কাউন্সিলর অরুণ প্রসাদ সরকার জানান, তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে মিড ডে মিলের খরচের হিসাব দিয়ে দেবেন। সিপিএম প্রাক্তন কাউন্সিলর স্নিগ্ধা হাজরা জানান, মাস চারেক আগে হিসাব দিয়েছেন। পুর কর্তৃপক্ষ সে সব না দেখেই ফের হিসাব চাইছেন। একই সুরে দ্বিগেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “হিসাব দিয়েছি বলে পুরসভায় জানিয়েছি। যে পুরকর্মীর কাছে জমা করেছি তিনি নথি পাচ্ছেন না। তার দায় কী আমাদের?” |