নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ তুলে দায়ের করা মামলার শুনানি হল না শুক্রবার। অনিবার্য কারণে এ দিন তা সম্ভব না-হওয়ায় ২৭ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয়েছে। প্রসঙ্গত, আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের দিন। ব্যাচেলার অব লাইব্রেরি সায়েন্স বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কী ভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যে রাখা হয়েছে এবং অন্যান্য আরও কিছু প্রশ্ন তুলে ছাত্র সংসদের নির্বাচন স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করা হয়। শুক্রবার ওই মামলার শুনানির কথা ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, এ দিন মামলার শুনানি হয়নি। সোমবার সেই শুনানি হবে। অন্য দিকে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলে উচ্চ শিক্ষা সংসদে অভিযোগ জানায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। সেই মতো উচ্চ শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুগত মারজিতের তরফে এ দিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলি জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ওই বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা সংসদে তাদের তরফে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিযোগ, এতদিন ‘নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি পিজি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’ নামে নির্বাচন হত। এ বছর তা বদলে ‘নর্থ বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন, অল ডিপার্টমেন্ট’ করা হয়েছে। অথচ কর্ম সমিতির মত নিয়ে ওই পরিবর্তন করা হয়নি। ‘ব্যাচেলার অব লাইব্রেরি সায়েন্স’ এর ছাত্রছাত্রীদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সামিল করা-সহ ভোটার তালিকায় যে সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের রাখা হয়েছে তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের। সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অনিয়ম করছেন। তা নিয়ে উচ্চ শিক্ষা সংসদে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। গত ২ নভেম্বর পুরনো কর্ম সমিতি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। অথচ নতুন কর্ম সমিতি গড়ে সিদ্ধান্ত না-নিয়েই নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।” নির্বাচন প্রক্রিয়া বানচাল করতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে ছাত্র পরিষদ। ছাত্র পরিষদের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রোনাল্ড দে, বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের দায়িত্বে থাকা মুক্তিনাথ শর্মা বলেন, “অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমরা জিতেছি। ২৯ ফেব্রুয়ারি ১২ টি আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা। অথচ তা ভন্ডুল করতে সক্রিয় হয়ে উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং এসএফআই।” তাদের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে উচ্চ শিক্ষা মন্ত্রী, উচ্চ শিক্ষা সংসদে অভিযোগ জানানো হয়েছে। আদালতে নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যিনি মামলা করেছেন তিনি এসএফআই করেন বলে ছাত্র পরিষদের অভিযোগ। এসএফআই অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। |