নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
এক দিনই ক্যানেলে ভরা জল ছিল। বাকি দিনগুলিতে শুখা। ক্যানেলের দিকে আঙুল দেখিয়ে এমনই বললেন খড়িয়া এলাকার কৃষক ধনঞ্জয় রায়। বোরো চাষের জন্য নতুন এলাকায় ক্যানেলে জল ছাড়া হবে বলে ঘোষণা করেছিল সেচ দফতর। পাট বা আলু চাষ করতে নিষেধ করা হয়েছিল জলপাইগুড়ির খড়িয়া, মন্ডলঘাট, নন্দনপুর, গড়ালবাড়ি এবং বেলাকোবা গ্রাম পঞ্চায়েতের তিস্তা ক্যানেল লাগোয়া এলাকার কৃষকদের। সরকারি নির্দেশমত বোরো চাষ করতে গিয়েই বিপাকে পড়েছেন প্রায় ১৮ হাজার ছোটবড় কৃষক। চাষিরা জানাচ্ছেন, গত বছরের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ক্যানেলে জল ছাড়া হলেও সেই জল তলানিতেই পড়ে রয়েছে। যা দিয়ে জমিতে জল নিয়ে যাওয়া কার্যত অসম্ভব। এতদিন প্রায় চার বিঘে জমিতে পাটের চাষ করতেন খড়িয়ার চৌধুরীপাড়ার ধনঞ্জয় রায়। এবারে ক্যানেল জল দেওয়া হবে বলায় প্রায় পাঁচ হাজার টাকা বোরো চাষে খরচ করে ফেলেন। তিনি বলেন, “জমিতে হাল দিয়েছি, বীজতলা করেছি। কিন্ত তিন মাস ধরে জল নেই। বীজতলা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী চাষ করেছিলাম তাতেই বিপদে পড়ে গেলাম। আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে।” সরকারি তথ্য বলছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক পরিমাণ জল ছাড়া হয় ক্যানেলে। পরেরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ক্যানেল উপচে জল পড়ে। |