|
|
|
|
দিল্লি গেলেন গুরুঙ্গ |
জিটিএতে ডুয়ার্সের কিছু অঞ্চল যাবে কি, শুনানি |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
দার্জিলিং পাহাড়ের স্বশাসিত পরিষদের এলাকার সঙ্গে তরাই-ডুয়ার্সের একটি অংশকে যুক্ত করার প্রস্তাব নিয়ে শুক্রবার সরকারি কমিটিতে শুনানি হয়েছে। শুক্রবার কলকাতায় এই শুনানি হয় রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগমের দফতরে। তরাই ও ডুয়ার্সের ৩৯৮টি মৌজাকে ‘গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ বা জিটিএ-র অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে সরকারি কমিটি সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের মতামত শোনে।
শুনানির পরে কমিটির চেয়ারম্যান, কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি শ্যামল সেন বলেন, “সব পক্ষের কথা শোনা হয়েছে। ১৬ মার্চ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকে বসব। তার পরে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” শ্যামলবাবুর নেতৃত্বাধীন উচ্চ ক্ষমতার কমিটিতে আরও ন’জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চার জন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি। এ ছাড়া আছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার চার জন্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের এক জন প্রতিনিধি। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা, আদিবাসী বিকাশ পরিষদ-সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক গোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা শুনানিতে মতামত জানিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে আলোচনার জন্য এ দিনই দিল্লি গিয়েছেন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ। ২৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে মোর্চার প্রতিনিধিদের সঙ্গে জিটিএ নিয়ে বৈঠকে বসবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। গুরুঙ্গ বলেন, “অবিলম্বে জিটিএ রূপায়ণের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব। মোর্চার চার বছরের আন্দোলনের ফল জিটিএ। এখন দ্রুত তা রূপায়ণ করতে হবে।” তবে জিটিএ নয়, সম্প্রতি আলাদা গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলে পাহাড়ে ফের সরব হয়েছে মোর্চা-বিরোধী বিভিন্ন দল। আলাদা রাজ্যের দাবি জানিয়ে চলতি সপ্তাহেই কালিম্পং মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার পড়ে। তাতে মোর্চার সমালোচনাও করা হয়েছে। এই ব্যাপারে গুরুঙ্গের বক্তব্য কী? মোর্চা সভাপতি জানান, পাহাড়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ জিটিএ চাইছেন। তাই দু’-এক জন কী বলল, তাতে কিছু যায়-আসে না। গুরুঙ্গ বলেন, “গোর্খাল্যান্ড আমাদের হৃদয়ে রয়েছে। আলাদা রাজ্য আমাদের জন্মগত অধিকার। জিটিএ রূপায়ণের মাধ্যমে পাহাড়ের উন্নয়নের ব্যবস্থা করেই গোর্খাল্যান্ডের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।” |
|
|
|
|
|