তালিকা তৈরির নির্দেশ
পরিবহণে স্বেচ্ছাবসর চান বহু কর্মী, দাবি মন্ত্রীর
রিবহণ নিগমগুলিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে রাজ্য সরকার ধীরে ধীরে ভর্তুকি তুলে দিতে চায়। সেই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে নিগমের অনেক কর্মীই স্বেচ্ছাবসরের জন্য এগিয়ে আসছেন বলে শুক্রবার মন্তব্য করেছেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
কোন কোন কর্মী স্বেচ্ছাবসর নিতে রাজি, তাঁদের নামের তালিকা দ্রুত তৈরি করার জন্য বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী। তবে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে কত টাকা লাগবে এবং টানাটানির সংসারে কোথা থেকে সেই টাকা আসবে, মদনবাবু তা খুলে বলতে চাননি। আর নতুন সরকারের শরিক কংগ্রেস এবং তাদের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি এ দিন জানিয়েছে, তারা পরিবহণে ভর্তুকি চালিয়ে যাওয়ারই পক্ষপাতী।
ক্ষমতায় এসেই পরিবহণ নিগমগুলির লোকসানের ভার কমাতে উদ্যোগী হয়েছে নতুন সরকার। পরিবহণে ভর্তুকি তুলে দিতে তারা যে বদ্ধপরিকর, সেটা বোঝাতে নিগমের কর্মীদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছিল। আটকে গিয়েছিল প্রাক্তন কর্মীদের পেনশনও। কর্মী-সংখ্যা কমিয়ে ‘বোঝা’ লাঘব করতে কর্মী ইউনিয়নগুলির সঙ্গে কথাও বলেছেন পরিবহণমন্ত্রী। কর্মী ইউনিয়নগুলির অধিকাংশই স্বেচ্ছাবসরের প্রস্তাবে নীতিগত ভাবে রাজি হওয়ায় সরকার ওই সব নিগমের কর্মীদের ফের বেতন দিতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার, ধর্মঘটের দিন কলকাতায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এ দিন পরিবহণ নিগমের কর্তাদের মহাকরণে ডেকে পাঠিয়েছিলেন পরিবহণমন্ত্রী। বৈঠকে স্বেচ্ছাবসরের প্রসঙ্গও ওঠে। কারা স্বেচ্ছাবসর নিতে রাজি হচ্ছেন? বৈঠকের পরে মন্ত্রী বলেন, “অনেক চালক-কনডাক্টর, বিশেষ করে যাঁরা দূর পাল্লার বাসে কাজ করেন, তাঁরা নিজেরাই বসে যেতে চাইছেন। ওঁদের চোখ ও শারীরিক ক্ষমতা পরীক্ষা করে নিগম-কর্তৃপক্ষ পর্যায়ক্রমে সিদ্ধান্ত নেবেন।” স্বেচ্ছাবসর নিতে আগ্রহী কর্মীদের তালিকা এক মাসের মধ্যে মন্ত্রীকে দেবেন বলে জানান সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন।
এনবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “প্রতি মাসে পেনশন খাতে আমাদের বরাদ্দ করতে হয় দু’কোটি টাকা। পরিমাণটা ক্রমেই বাড়ছে।” বিভিন্ন নিগমে পেনশন দেওয়ার নিয়ম ভিন্ন রকম। তাই একটা সমতা এনে আর্থিক দায়ভার কমানোর উপরে জোর দেন পরিবহণমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কর্মীদের জানুয়ারির বেতন মঞ্জুর করা হয়েছে। আশা করছি, এ মাসেই কর্মীরা তা পেয়ে যাবেন।”
এ দিনই রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থাগুলির কংগ্রেস প্রভাবিত আইএনটিইউসি কর্মীদের সমাবেশে আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “তিন-চার মাস ধরে পরিবহণ কর্মীদের মাইনে বন্ধ। উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমে কর্মীরা ছাঁটাইয়ের মুখে পড়েছেন। এ ভাবে চলতে থাকলে পরিবহণ আর কোনও দিন মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না।”
এই অবস্থা বদলানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর্জি জানান প্রদীপবাবু। তিনি বলেন, “বাম আমলে নিগমগুলির চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে রাজনৈতিক কর্মীদের বসানো হত। সে-পথ ছেড়ে পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের দায়িত্ব দিতে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি।” বিভিন্ন পরিবহণ নিগমের সম্প্রসারণ প্রয়োজন। নিগমগুলি যাতে আরও মুনাফা করতে পারে, সেই জন্য মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবনাচিন্তা করতে অনুরোধ জানান প্রদীপবাবু। তাঁর আশ্বাস, আইএনটিইউসি সাহায্য করবে। ভর্তুকি কেন দরকার, তা-ও ব্যাখ্যা করে তিনি। বলেন, “সারে যেমন ভর্তুকি থাকা দরকার, একই কারণে পরিবহণেও ভর্তুকি প্রয়োজন। ভর্তুকি ছাড়া সরকারি পরিবহণ চলতে পারে না।”



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.