|
|
|
|
মনোনয়ন জমায় বাধা, অভিযুক্ত টিএমসিপি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর |
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে কলেজ ভোটের মনোনয়নপত্র পেশ করায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলল এসএফআই। শুক্রবার, মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে, উত্তর ২৪ পরগনার দু’টি কলেজে এই ঘটনা ঘটে।
অশোকনগরের নেতাজি শতবার্ষিকী কলেজে মনোনয়নপত্র লুঠ করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এসএফআইয়ের জনা ২০ কর্মী-সমর্থক মনোনয়ন জমা দিতে কলেজে ঢুকছিলেন। সেই সময় টিএমসিপি কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলা বাধে।
এসএফআইয়ের হাবরা জোনাল কমিটির সদস্য তথা কলেজের বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ দত্তের অভিযোগ, “আমার হাতে মনোনয়নপত্রগুলি ছিল। টিএমসিপি-র সদস্যরা তা কেড়ে নিয়ে পুড়িয়ে দেয়।” অশোকনগরের প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক সত্যসেবী করের অভিযোগ, “পুলিশের সামনেই সমস্ত ঘটনা ঘটে। এর ফলে নির্বাচন এখন কার্যত প্রহসনে পরিণত হল।” ঘটনার প্রতিবাদে এসএফআই স্থানীয় কচুয়া মোড়ে আধঘণ্টা পথঅবরোধ করে। অভিযোগ জানানো হয় পুলিশেও। যদিও এসএফআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা সভাপতি সঞ্জয় রাহা বলেন, “বাস্তবে এসএফআই কোনও প্রার্থী পায়নি। মনোনয়নপত্র কেড়ে নেওয়া বা পুড়িয়ে দেওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। নির্বাচন আটকাতে এসএফআই পরিকল্পিত ভাবে এই সব অভিযোগ তুলছে।” |
|
এসএফআই সমর্থকদের পথ অবরোধ। |
অন্যদিকে, নহাটা যোগেন্দ্রনাথ মণ্ডল স্মৃতি মহাবিদ্যালয়েও টিএমসিপি’র বিরুদ্ধে এ দিন একই অভিযোগ করে এসএফআই। এসএফআইয়ের বনগাঁ জোনাল কমিটির সম্পাদক নিশীথ মণ্ডল বলেন, “মনোনয়ন জমা দিতে গেলে টিএমসিপি-র ছেলেরা মারধর করে তা কেড়ে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। ১১৪টি আসনের মধ্যে মাত্র ৪৮টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছি।”
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শেখ কামালউদ্দিন অবশ্য বলেন, “আমার সামনে মারধর বা মনোনয়ন লুঠের ঘটনা ঘটেনি।” এসএফআইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে টিএমসিপির তরফে সঞ্জয়বাবু বলেন, “আমরা যদি মনে করতাম তাহলে এসএফআই একটি আসনেও মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারত না। আসলে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওরা কুৎসা করছে।” দু’টি কলেজেই ৫ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা। |
|
|
|
|
|