অনিয়মিত বাস চলাচলের অভিযোগ তুলে নদিয়ার বাদকুল্লা মোড়ে বিক্ষোভ দেখালেন নিত্যযাত্রীরা। অভিযোগ, কৃষ্ণনগর-রানাঘাট ভায়া বাদকুল্লা রুটের বাস চলে না সময়সূচি অনুযায়ী। সকাল ৬টায় রানাঘাট যাওয়ার প্রথম বাস থাকলেও ৫টি বাস না ছাড়ার পর বাস চলাচল শুরু হয় ৮টায়। ফলে সকাল থেকে দাঁড়িয়ে হয়রান যাত্রীরা দিনের প্রথম বাসটিকে আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। প্রায় দু’ঘণ্টা বিক্ষোভ দেখান তারা। বাদকুল্লা মোড়ে বিক্ষোভে বাস আটকে থাকায় কিছু বাস ওই সময় জালালখালি দিয়ে দোগাছির ভেতর দিয়ে চলাচল করে। মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর দিনে ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক অভিনব চন্দ্রা বলেন, “বিষয়টি খুবই দুভার্গ্যজনক। বাস মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার জেলার বিভিন্ন রুটে অনিয়মিত বাস চলাচলের অভিযোগ উঠেছে। রাতের শেষ বাস না থাকা নিয়েও যাত্রীদের ক্ষোভ রয়েছে। বিশেষত, এই বিয়ের মরসুমে আরও অনিয়মিত হয়ে পড়েছে বাস চলাচল। সম্প্রতি কৃষ্ণনগর-রানাঘাট ভায়া শান্তিপুর রুটে সন্ধ্যের পর বাস না থাকায় বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। বাসের দাবিতে কৃষ্ণনগর-বেলডাঙা রুটেও বাস অবরোধ করা হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বায় চালাতে বাধ্য হন বাস মালিকেরা। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, প্রতিটি রুটে নির্দিষ্ট সময় সূচি থাকা সত্বেও বাস মালিকেরা প্রশাসনকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো বাস চালায়। এমনকী আরটিওর অনুমতি না নিয়ে, আগাম না জানিয়ে বিরাট সংখ্যক বাস বিয়েতে ভাড়া খাটানো হয়। অভিযোগ, সব কিছু জানার পরেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস চলাচল স্বাভাবিক করা বা যারা সময় সূচি মানছেন না তাদের বিরুদ্ধে কোনও আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। নিত্য বাসযাত্রী সমিতির সভাপতি রাহুল মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রশাসনিক উদাসীনতার কারণেই বাস মালিকরা দিনের পর দিন এভাবে বাস চালানোর সুযোগ পাচ্ছে। যখন তখন যে কোনোও রুটে বাস চালাচ্ছেন তারা।” নদিয়া জেলা বাস মালিক সমিতির সম্পাদক পীযূষ রক্ষিত বলেন, “মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীন কোনও বাস বন্ধ করা যাবে না বলে নির্দেশিকা দিয়েছিলাম। তাও ওই রুটে কেন তা অমান্য করা হল তা খতিয়ে দেখছি।” তিনি আরও বলেন, “সংগঠনের পক্ষ থেকে বাস মালিকদের অনুরোধ করছি যেন তারা আগাম না জানিয়ে বাস তুলে না নেন। তবে কাউকে তো জোর করতে পারিনা।” এর আগেও একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত বাস মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক মলয় রায়। মলয়বাবু বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। তারা আমায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভবিষত্যে এরকম না করার।” |