অর্থাভাবে ভাগীরথীর পাড় বরাবর সৌন্দর্যায়নের কাজ থমকে রয়েছে।
গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যানের (ফেজ-২) আওতায় ২০০৮ সালের শুরুতেই ৮টি ঘাটকে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল বহরমপুর পুরসভা। সেই মত কলোনি ঘাট, জগন্নাথ ঘাট, আম্বেদকর ঘাট, বিটি কলেজ ঘাট, রাধারঘাট, নতুনবাজার ঘাট, দশমুন্ড কালিপাড়া ঘাট ও গোপালঘাট সাজিয়ে তোলা হবে বলেও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু ওই ঘাটের মধ্যে ৪টি ঘাট এলাকাকে ঘিরে পার্ক গড় তোলার অনুমোদন পায় পুরসভা। বাকি ৪টি ঘাট সাজানোর দায়িত্ব নেয় পুর ও নগরন্নোয়ন দফতর। ঘাট সাজাতে ৩ কোটি ৭ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা বরাদ্দ করে সরকার। তার মধ্যে কলোনি ঘাটের সৌন্দর্যায়নের জন্য ২৭.৩৪ লক্ষ টাকা, জগন্নাথ ঘাট ৩৫.০৯ লক্ষ, আম্বেদকর ঘাট ৩৯.১৯ লক্ষ, বিটি কলেজ ঘাট ৪০.৮৮ লক্ষ, রাধারঘাট ৩৮.৬০ লক্ষ, নতুনবাজার ঘাট ৪১.৩৮ লক্ষ, দশমুন্ড কালিপাড়া ঘাট ২৮.৪২ লক্ষ এবং গোপালঘাটের জন্য ৩৪.১২ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে বলে প্রকল্পও তৈরি হয়। পুরপ্রধান নীলরতন আঢ্য বলেন, “ভাগীরথী পাড় বরাবর প্রায় সাড়ে চার কিমি এলাকা সৌন্দর্যায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করে পুরসভা। কিন্তু ৪টি ঘাট বরাবর প্রায় দু-কিমি এলাকা সুন্দর করে সাজানোর অনুমোদন মেলে ২০০৮ সালে। এর পরে ঘাট এলাকা ঘিরে বিভিন্ন জটিলতা কাটিয়ে প্রকল্প তৈরি করা থেকে দরপত্র ঘোষণা ও কাজের ওয়ার্কঅর্ডার দেওয়ার পরে ওই কাজ শুরু হতে ২০১০ সাল লেগে যায়।” |
কাজ শুরুর পরে এখন পর্যন্ত ঘাট এলাকার ভাঙন ঠেকাতে বোল্ডার ফেলে ভাগীরথীর পাড় বাঁধাই, তৃতীয় সড়ক লাগোয়া ওই ঘাটের চার পাশ পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া, স্নানঘাট তৈরি, ঘাট এলাকা লাগোয়া শৌচাগার নির্মাণ থেকে ঘাট এলাকায় মাটি ফেলে সমান করার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। তাও বছর দুয়েক হয়ে গেল। পুরপ্রধান জানান, ওই প্রকল্প বাবদ কেন্দ্রীয় সরকার ৭০ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৪৮ হাজার টাকা এবং রাজ্য সরকার ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৯২ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা দেওয়ার কথা। কিন্তু ওই চারটি ঘাট বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা এখনও পুরসভার পাওনা রয়েছে। ওই টাকা পুরসভা না পেলে নতুন করে কাজ শুরু করতে পারছি না বলে তিনি জানিয়েছেন। ওই ঘাট এলাকা ঘিরে পুর-কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা প্রসঙ্গে নীলরতনবাবু বলেন, “কলকাতার মিলেনিয়াম পার্কের মত ভাগীরথীর পাড় বরাবর এলাকা সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ঘাট এলাকায় বিভিন্ন ফুলের গাছ-সহ অনান্য গাছ দিয়ে সবুজে ভরিয়ে তোলা হবে।” |