|
|
|
|
আক্ষেপ নিয়েই মাধ্যমিকে ছত্রধরের ছেলে |
বরুণ দে • শালবনি |
বাবা জেলে। দীর্ঘদিন তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি। স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ। পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরোনোর পর তাই দেবীপ্রসাদ বলছিল, “এই সময় বাবা পাশে থাকলে আরও ভাল লাগত।” দেবীপ্রসাদ জেলবন্দি জনগণের কমিটির নেতা ছত্রধর মাহাতোর ছোট ছেলে। এ বারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বাবার অনুপস্থিতিতে ঘর সালাচ্ছেন মা নিয়তীদেবীই। পরিবারে আর্থিক সমস্যা রয়েছে। কিন্তু, এই পরিস্থিতিতেও পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চায় ছত্রধরের ছোট ছেলে। লালগড় রামকৃষ্ণ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে থেকেই পড়াশোনা করেছে সে। পরীক্ষা কেন্দ্র শালবনি থানা এলাকার সাতপাটি হাইস্কুল। শুক্রবার সকালে সহপাঠীদের সঙ্গে গাড়িতে করেই এখানে আসে দেবীপ্রসাদ। মা আসতে পারেননি। এসেছিলেন দাদা ধৃতিপ্রসাদ। |
|
ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল। |
ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলার পর খানিক অভিমানের সুরেই তিনি বলেন, “আগে বাড়িতে কত লোকজন আসত। এখন সে ভাবে আর কেউই আসে না। আমরা কেমন আছি, কী সমস্যা, সে সব খোঁজখবরই নেয় না।” তাঁর কথায়, “বাবা পাশে নেই বলে ভাইয়ের মন খারাপ। এটা বুঝি বলে চলে এলাম।”
ছত্রধর মাহাতোর বাড়ি লালগড়ের আমলিয়া গ্রামে। বাড়িতে মা ছাড়াও রয়েছেন দাদা আশুতোষ মাহাতো, ঠাকুমা বেদনাবালাদেবী। ছত্রধরের হাত ধরেই লালগড়ে গড়ে ওঠে জনগণের কমিটি। মাওবাদী দমনে যৌথ অভিযান শুরু হওয়ার পর গ্রেফতার হন ছত্রধর। প্রায় আড়াই বছর ধরে তিনি জেলবন্দি। ছত্রধরের দুই ছেলে। বড় ছেলে ধৃতিপ্রসাদ গত বছরই মাধ্যমিক দিয়েছেন। এখন মেদিনীপুর শহরের এক স্কুলে একাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন। আগে বাড়িতে যখন-তখন পুলিশ যেত। ছত্রধরের বড় ছেলে বলেন, “এখন বাড়িতে আর পুলিশ যায় না। গ্রামে কোনও অশান্তিও নেই।” |
|
|
|
|
|