বাঁকুড়ায় বদলি অভিযুক্ত কারারক্ষীকে |
জেলের মধ্যে মোবাইল পাচারের ঘটনায় জড়িত শান্তনু দেবকে শেষমেশ বাঁকুড়া সংশোধনাগারে বদলি করা হল। এরপর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে পারে বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। যদিও এ ব্যাপারে মুখ খুলতে নারাজ মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার প্রহ্লাদ সিংহ কুমার। এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে উত্তেজিত হয়ে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। কিছু বলতেও পারব না।” মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মাওবাদী বন্দিদের কাছে মোবাইল, গোপন চিঠি, নগদ টাকা এমনকী মাদক দ্রব্য-সহ নানা ‘নিষিদ্ধ বস্তু’ সরবরাহের ক্ষেত্রে প্রধান মদতদাতা হিসাবে এআইজি (কারা) কল্যাণ প্রামাণিকের নিরাপত্তারক্ষী শান্তনু দেবের দিকে আঙুল তুলেছিল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর। এ ব্যাপারে কারা দফতরকে সতর্কও করা হয়েছিল। যদিও সেই সতর্কতাকে জেল সুপার-সহ কারা দফতরের পদস্থ কর্তারা আমল দেননি বলে অভিযোগ। চলতি মাসের ১০ তারিখ আইজি (কারা) রণবীর কুমারকে এক চিঠি দেন এডিজি (আইবি) বাণীব্রত বসু। ওই চিঠিতে শান্তনুবাবু সম্পর্কে সতর্ক করে জানানো হয়, তাঁর মদতেই জেলে মোবাইল, টাকা, মাদক দ্রব্য ও গোপন চিঠি পৌঁছচ্ছে। এরপর শান্তনুবাবুকে নিরাপত্তারক্ষীর দায়িত্ব থেকে সরানো হলেও তাঁকে সেই মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই রক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। যে রক্ষীর মদতে বন্দিদের কাছে মোবাইল পৌঁছে দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে আবার সেই জেলেরই রক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয় কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে বিভিন্ন মহলে। শুক্রবার এই খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে কারা দফতর। পদস্থ কারা-কর্তাদের নির্দেশে তড়িঘড়ি ওই কর্মীকে বাঁকুড়া সংশোধনাগারে বদলি করা হয়েছে।
|
অঙ্গনওয়াড়ি পরিদর্শনে মন্ত্রী |
বৃহস্পতিবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে অঙ্গনওয়াড়ির পরিকাঠামো উন্নয়ন, কর্মী নিয়োগ থেকে উন্নত খাবার দেওয়ার উপরেই জোর দিয়েছিলেন নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র। শুক্রবার চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতা শহরের কয়েকটি অঙ্গনওয়াড়ি ঘুরে দেখলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন জেলার প্রশাসনিক কর্তা ও শিশু কল্যাণ দফতরের জেলার চেয়ারপার্সন উত্তরা সিংহ। সাধারণ মানুষ ও কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলেন মন্ত্রী। খাবারের মান যাচাই করেন। উপযুক্ত পরিকাঠামো রয়েছে কি না খতিয়ে দেখেন। তারপরই মন্ত্রী বলেন, “উন্নত পরিষেবা দিতে হবে। তার জন্য কোনও সমস্যা থাকলে সরকারকে জানান। মানুষ যাতে পরিষেবা থেকে বঞ্চিত না হন।” চেয়ারপার্সন উত্তরা সিংহ বলেন, “মন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে কী হয়েছে তা নিয়ে মাথা ঘামানোর ব্যাপার নেই। এখন থেকে প্রতিটি মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে হবে। পরিকাঠামো উন্নয়নে কোনও খামতি রাকা যাবে না।”
|
নির্বিঘ্নেই শেষ হল মাধ্যমিকের প্রথম দিনের পরীক্ষা। শুক্রবার দুই মেদিনীপুরের কোথাও কোনও অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি বলেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মেদিনীপুর আঞ্চলিক কেন্দ্র সূত্রে খবর। কেন্দ্রের অধিকর্তা প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “প্রথম দিনের পরীক্ষা সুষ্ঠু ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে।” প্রদীপবাবু এ দিন নিজেও মেদিনীপুর শহরের কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে পরিস্থিতি দেখেন। বিদ্যাসাগর বিদ্যাপীঠ (বালিকা), কলেজিয়েট স্কুল (বালিকা) প্রভৃতি কেন্দ্র ঘুরে দেখেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরে এ বার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৭ হাজার ৮৬৪। পূর্ব মেদিনীপুরে ৫৪ হাজার ৪০৩। নির্বিঘ্নে পরীক্ষা হয়েছে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেও। এখানে এ বার ১৭ জন বন্দি মাধ্যমিক দিচ্ছেন। এঁদের মধ্যে ৯ জন সাজাপ্রাপ্ত। ৮ জন বিচারাধীন। বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে আবার ৭ জনই জ্ঞানেশ্বরী দুর্ঘটনা মামলায় অভিযুক্ত। পর্ষদ অধিকর্তা বলেন, “এ দিন কোনও অভিযোগ আসেনি। সর্বত্রই সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা হয়েছে।”
|
পুলিশের রেঞ্জ স্তরের বিতর্ক প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেল শুক্রবার। খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের অফিসেই এই প্রতিযোগিতা হয়। বিষয় ছিল, সংবিধানের প্রতি যাঁদের আনুগত্য নেই তাঁদের সাংবিধানিক সুবিধাও পাওয়া উচিত নয়। মেদিনীপুর রেঞ্জের অন্তর্গত সমস্ত জেলা থেকেই প্রতিযোগিরা অংশ নিয়েছিলেন। |