জাতীয় সন্ত্রাস মোকাবিলা কেন্দ্র (এনসিটিসি) নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ ১০ অ-কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম। জানালেন, এনসিটিসি-র কাজের পরিধি ও এক্তিয়ারের বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনার জন্য সব রাজ্যের সন্ত্রাস-দমন সংস্থা ও পুলিশ-প্রধানকে এক বৈঠকে ডাকা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব এই বৈঠক ডাকবেন। তার দিনক্ষণ অবশ্য জানানো হয়নি। সন্ত্রাস দমনকে ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের যৌথ দায়িত্ব’ হিসেবে চিহ্নিত করে চিদম্বরম তাঁর চিঠিতে এনসিটিসি গঠনের প্রয়োজনীয়তার উপরেই জোর দিয়েছেন। এ ব্যাপারে ‘রাজনীতির ঊর্ধ্বে’ ওঠারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। |
আগামী ১ মার্চ থেকে এনসিটিসি কার্যকর হওয়ার কথা। কিন্তু আগে থেকে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করা এবং রাজ্যের এক্তিয়ার খর্ব করার অভিযোগ তুলে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, গুজরাত, তামিলনাড়ু হিমাচলপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ ও ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী এর তীব্র বিরোধিতা করছেন। এই আপত্তির মুখে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ আশ্বাস দিয়েছিলেন, রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনা করেই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলারও নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে জানানো হয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এসে বুধবার মমতাও জানান, এনসিটিসি গঠনের বিষয়টি আপাতত স্থগিত থাকছে। যদিও কেন্দ্রের তরফে এ বিষয়ে সে দিন কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তার পরে এই চিঠি। প্রত্যেকটির বয়ান এক। যাতে এনসিটিসি গঠনের প্রশ্নে আগের বলা যুক্তিগুলির পক্ষেই ফের সওয়াল করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এনসিটিসি-র হাতে তল্লাশি চালানো ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া দেওয়া নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে অ-কংগ্রেসি রাজ্যগুলি। এ ব্যাপারে চিঠিতে চিদম্বরম লিখছেন, “সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযান চালানোর সময় ন্যূনতম এই ক্ষমতাটুকু এনসিটিসি-র হাতে থাকা দরকার।” পুলিশকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসে এই জাতীয় সব আপত্তি দূর করা যাবে কি না, সেই প্রশ্ন অবশ্য থেকেই যাচ্ছে। |