|
|
|
|
টেন্ডার নোটিসে অনিয়ম, নালিশ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালদহ |
বিধি ভেঙে সীমান্ত উন্নয়ন প্রকল্পের ৭০ লক্ষ টাকার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি জারির অভিযোগ উঠল মালদহের হবিবপুরের বিডিও’র বিরুদ্ধে। ৩ ফেব্রুয়ারি ওই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও বিধি মেনে সংবাদপত্র, ওয়েবসাইট বা জেলা প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দফতরে ওই বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি বলে অভিযোগ। ব্লকের ঠিকাদারদের একাংশ এই বিষয়ে অভিযোগ জানানোর পরে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদহের জেলাশাসক শ্রীমতী অর্চনা। তিনি বলেন, “টেন্ডার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ্ব রাখার জন্য ওয়েবসাইটে, এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরে টাঙানোর নিয়ম রয়েছে। সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি জারির নির্দেশ রয়েছে। সেটা না-হলে তদন্ত করে পদক্ষেপ করা হবে।” ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে টেন্ডার জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখন তা বাড়িয়ে ২ মার্চের মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে। হবিবপুরের বিডিও অভিজিত ঘোষ দাবি করেছেন, “সরকারি নিয়ম মেনে টেন্ডার নোটিস করা হয়েছে। সমস্ত সরকারি অফিসে টেন্ডার নোটিস টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছিল। স্বাথার্ন্বেষী ঠিকাদার আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন।” তবে তিনি স্বীকার করেন, নোটিসটি জেলাশাসকের ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি। টেন্ডার নোটিস সবাই দেখতে পায়নি বলে জমা দেওয়ার সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়ানো হয়েছে। টেন্ডার নোটিস ওয়েবসাইটেও দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিওডিপি প্রকল্পে হবিবপুরের বিডিও ৬টি কংক্রিটের রাস্তা ও একটি পিচের রাস্তা দরপত্র চান। এক একটি রাস্তার কাজ প্রায় ৯ লক্ষ টাকা থেকে শুরু করে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রয়েছে। সরকারি নির্দেশ রয়েছে, যে কোনও টেন্ডার নোটিস প্রকাশিত হলেই সেই টেন্ডার জেলার সমস্ত সরকারি অফিসে টাঙাতে হবে। জেলাশাসকের ওয়েবসাইটে টেন্ডারটি দিতে হবে। ১০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের কাজ হলে বহুল প্রচারিত যে কোনও দৈনিক সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিতে হবে। জেলাশাসকের ওয়েবসাইটেও টেন্ডার ডিসপ্লে করা হয়নি। বিষয়টি কয়েকজন ঠিকাদার জেলা প্রশাসনের নজরে আনতেই জেলাশাসক নড়েচড়ে বসেন। |
|
|
|
|
|