উচ্চশিক্ষায় ভর্তির পরীক্ষায় দুর্গম ও উপদ্রুত অঞ্চলের বিভিন্ন হাসপাতালের চিকিৎসকদের বাড়তি ৩০ শতাংশ নম্বর যোগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। কিন্তু দুর্গম ও উপদ্রুত অঞ্চলের হাসপাতাল বলতে কী বোঝায়, এ বার সেটাই জানতে চাইলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এন পটেল।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাসপাতালে চিকিৎসক পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওই সব এলাকায় যেতে ডাক্তারদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য সরকার সম্প্রতি উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে তাঁদের অতিরিক্ত নম্বরের আশ্বাস দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট নোটিসে বলা হয়েছে, ভর্তি-পরীক্ষায় তাঁরা যা পাবেন, তার সঙ্গে বাড়তি ৩০ শতাংশ নম্বর যোগ হবে। রাজ্য সরকারের ওই নোটিসকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শতাধিক সরকারি চিকিৎসক মামলা করেন। হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পটেল ও বিচারপতি সম্বুদ্ধ চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি চলছে। শুনানির সময়েই প্রধান বিচারপতি জানতে চান, বাড়তি নম্বরের এই ব্যবস্থার ফলে চিকিৎসকদের মধ্যে বিভাজন বৃদ্ধি পাবে কি না?
ফাঁসিদেওয়া হাসাপাতালের চিকিৎসক পাপিয়া বিশ্বাস এবং অন্য কয়েক জন চিকিৎসকের পক্ষে প্রবীণ আইনজীবী কাশীকান্ত মৈত্র বৃহস্পতিবার সওয়াল করেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে জানেন, শিলিগুড়ি মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার গ্রামীণ এলাকা অত্যন্ত দুর্গম। অথচ সরকারি নিয়মে শিলিগুড়ি মহকুমার গোটাটাই সুগম এলাকা। ওখানে যে-সব চিকিৎসক কাজ করেন, তাঁরা বাড়তি নম্বর পাওয়ার অধিকারী হবেন না।
আদালত তখনই দুর্গম ও উপদ্রুত অঞ্চল নিয়ে ব্যাখ্যা চায়। কাশীবাবু এ দিন প্রধান বিচারপতিকে বলেন, সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল, গ্রামে চিকিৎসক যাচ্ছেন না এই যুক্তিতেই বাড়তি নম্বরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসাশাস্ত্রের মতো একটি বিষয়ে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে যদি এ ভাবে মেধার সঙ্গে সমঝোতা করা হয়, তা হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ বিপদ দেখা দেবে। কাশীবাবু জানান, আইনে বৈষম্যের কোনও স্থান নেই। সোমবার এই মামলার ফের শুনানি হবে। |