|
|
|
|
সরকারি টাকা অমিল বন্ধ্যাত্ব, নির্বীজকরণে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • জলপাইগুড়ি |
দু’সন্তান জন্মের পর স্বামী বা স্ত্রীর বন্ধ্যাত্বকরণ করুন এবং সরকারি থেকে উপহার হিসেবে টাকা নিন। টেলিভিশন বা সংবাদমাধ্যমে এমন সরকারি বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। অথচ জলপাইগুড়িতে বন্ধ্যাকরণ ও নির্বীজকরণে টাকা মিলছে না। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী অস্ত্রোপচারের পরেই হাতে হাতে নগদ টাকা দিয়ে দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। জলপাইগুড়িতে গত আড়াই মাস ধরে টাকার জন্য ঘুরতে হচ্ছে মহিলা-পুরুষদের। একজন বিপিএল মহিলা বন্ধ্যকরণ করালে ৭৫০ এবং পুরুষ নির্বীজকরণ ১১০০ টাকা পান। পুরুষদের ক্ষেত্রে যে ব্যক্তি উৎসাহ দেন তাকেও নগদ ২০০ টাকা দেওয়া হয়। দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে নিম্নআয়ের পরিবারের সদস্যদের প্রকল্পে উৎসাহিত করতে সরকারের তরফে হাতে হাতে দেওয়ার সরকারি নির্দেশ রয়েছে। সরকারি ঘোষণা মত টাকা না পাওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে বন্ধ্যাকরণ করার সংখ্যাও নিম্নগামী। গত ডিসেম্বর মাস থেকে ৯০০ জন পুরুষ-মহিলা টাকা পাননি। যদিও সরকারিভাবেই জানা গিয়েছে, প্রকল্প খাতে যথেষ্ট অর্থ জেলার তহবিলে রয়েছে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার জন্যই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই স্বাস্থ্য প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে জলপাইগুড়িতে। বন্ধ্যাত্বকরণের বিষয়টি দেখভাল করে হাসপাতালের পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ বা পিপি ইউনিট। এদিন ওই বিভাগে গিয়ে দেখা গিয়েছে, কে টাকা বিলির দায়িত্ব নেবেন তা নিয়েই রয়েছে অনিশ্চয়তা। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের যে কর্মী টাকা বিলির দায়িত্বে রয়েছেন তাঁর ব্লাড ব্যাঙ্কেরও দায়িত্ব রয়েছে। এমনকী, হাসপাতালের যাবতীয় ফর্ম তৈরির কাজও ওই কর্মীকেই দেওয়া হয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে তাঁকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ থেকে হাসপাতাল সুপারের দফতরের দায়িত্বে আনা হয়েছে। অথচ তাঁর জায়গায় নতুন কোনও কর্মী আসেননি। গত ডিসেম্বর মাস থেকে টাকা বিলিও বন্ধ। জেলা হাসপাতালের সুপার ব্রজেশ্বর মজুমদার ছুটিতে আছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপার স্বপন বন্দোপাধ্যায় বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। অনেক মহিলাই টাকার জন্য বারবার এসে ফিরে যাচ্ছেন। কর্মী সংখ্যা কম থাকায় সমস্যা রয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তিকে মানতে চাননি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা। সমাজকর্মী সুব্রত সরকার বলেন, “ওই পদে কর্মী না থাকলে অন্য কর্মীকে দিয়ে কাজ করানো যেতে পারে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের কাজ একজন কর্মীর অভাবে হচ্ছে, তা শুনলেই অনেকেই হাসতে পারেন। স্বাস্থ্য দফতরের বিষয়টি দেখা দরকার।” |
|
|
|
|
|