|
|
|
|
মাধ্যমিকে জন্য চাক ভাঙল স্কুল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
মৌচাকে লাগাতার উপদ্রবে বেজায় বিরক্ত মৌমাছির দল! বৃহস্পতিবার সকালে তাই আক্রমণকেই প্রতিরোধের রাস্তা হিসাবে বেছে নিল বারবার ঘরপোড়া মৌমাছির দল। গত সাতদিনে কখনও ধোঁয়া দিয়ে, কখনও মশালের আগুন লাগিয়ে চাক ভাঙা হয়েছে। কিন্তু প্রতিবারই কয়েকঘন্টা পরেই ফের ফিরে এসেছে নাছোড় মৌমাছির দল। পুড়িয়ে ফেলা চাকের জায়গাতেই বানিয়ে নিয়েছে তারা আবার নতুন চাক। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে বেলাকোবার মুদিপাড়া নগেন্দ্রনাথ হাইস্কুলের দোতলার বারান্দায় সার দিয়ে ঝুলে থাকা মৌমাছির চাক ভাঙতে যেতেই মৌমাছি দলের সম্মিলিত আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে স্কুলের পরিচালন কমিটির সম্পাদক বলেন্দ্রনাথ রায় ও তাঁর সঙ্গীদের। আজ, শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। এই স্কুলেও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র করা হয়েছে। মৌমাছিদের হুলের দাপটে গত ১৫ দিন ধরে স্কুলের পঠনপাঠন কার্যত দফারফা। মাধ্যমিক চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সে কারনেই এদিন ফের মৌমাছির চাক ভাঙার অভিযান শুরু হয়। বলেন্দ্রনাথবাবু কয়েকজন গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে চাক ভাঙার আয়োজন করেন। একটি চাকের দিকে লাঠি বাড়িয়ে দিতেই দলে দলে মৌমাছি বার হয়ে এসে তাড়া করে গ্রামবাসীদের। ক্ষুদ্ধ মৌমাছিদের গুনগুন শুনে আসেপাশের চাক থেকেও দলে দলে বার হতে থাকে অন্য মৌমাছিরা। বাধ্য হয়েই চাক ভাঙার অভিযান বন্ধ হয়। পরিচালন কমিটির সম্পাদক বলেন্দ্রনাথবাবু বলেন, “দিনের বেলায় মৌমাছিরা বোধহয় রেগেই থাকে, সেই কারনেই তারা তাড়া করেছে। কিন্তু কোনও উপায় নেই। মাধ্যমিক শুরু হবে। রাতে ফের চাক ভাঙার চেষ্টা করা হবে।” মৌমাছি কাণ্ডের খবর পৌঁছেছে মাধ্যমিক পর্ষদেও। জলপাইগুড়ি স্কুল পরিদর্শকের দফতর থেকে বিষয়টি লিখিত ভাবে পর্ষদকে জানানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি সদর মহকুমা শাসক সাগর চক্রবর্তীর নির্দেশে বিডিও অফিস থেকে স্কুলে গিয়ে মৌমাছির চাক পরিদর্শন করা হয়েছে। মহকুমাশাসক বলেন, “বন দফতরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বিডিওকে বলেছি স্কুলের পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে।” মাস খানেক আগেই মুদিপাড়ার স্কুলের দোতলার বারান্দায় পরপর ১১টি মৌমাছির চাক তৈরি হয়। ক্লাসঘরে ঢুকে ছাত্র শিক্ষকদের হুল ফুটিয়ে দেওয়ার ঘটনাও প্রায়দিনই ঘটতে থাকে। সম্প্রতি একদল চিলের অনুপ্রবেশ পরিস্থিতি জটিল করে তোলে। মধুর লোভে চাকের ভিতর থেকে মধুর তাল ছোঁ মেরে নিয়ে যায় চিল, তার পরেই অশান্ত মৌমাছির দল চাক থেকে বার হয়ে সামনে যাতে পায় তাকেই কামড়াতে শুরু করে। দুই দিন স্কুল বন্ধও ছিল। মাঠেও ক্লাস হয়েছে। আজ, থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় কী হয় তাই এখন দেখার! |
|
|
|
|
|