নদীবাঁধ পেয়ে কৃতজ্ঞতা
হকুমাশাসক বৈভব শ্রীবাস্তব এবং বিডিও বীরবিক্রম রাইকে ফুল ছড়িয়ে অভ্যর্থনা জানালেন গ্রামের মহিলারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের মাউরিয়া বস্তিতে বালাসন নদীর পাড়ে প্রশাসনের ওই দুই আধিকারিক দাঁড়াতেই গোটা গ্রামের লোক হাত জোড় করে জানালেন কৃতজ্ঞতা। সেখানে সিপিএম, তৃণমূল কিংবা কংগ্রেস, কাউকে আলাদা করে চেনার উপায় নেই। গত এক দশক ধরে বর্ষায় বালাসন নদী তাঁদের ঘরদুয়ার ভাসিয়ে দিচ্ছে। বাঁ দিক থেকে নদী ক্রমশ সরে আসছে ডানদিকে মাউরিয়া বস্তিতে। গোটা গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। রাস্তা নেই। নেই পরিশ্রুত পানীয় দলের ব্যবস্থাও। স্কুল গ্রাম থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূরে। সেই গ্রামেই এ বার একশো দিনের প্রকল্পে বাঁধ তৈরি হচ্ছে। ৯২ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পে কাজ করবেন গ্রামের লোকেরাই। সাড়ে তিনশো মিটারের ওই বাঁধের জন্য শ্রমিকদের মজুরিই দেওয়া হবে প্রায় ৪২ লক্ষ টাকার। অন্তত তিন মাস কাজ পাবেন বাসিন্দারা। বাকিটা খরচ হবে পাথর, তারজালি সংগ্রহ-সহ অন্যান্য কাজে। একদিকে, নদী বাঁধ বর্ষায় গোটা গ্রামকে রক্ষা করবে অন্যদিকে, বাঁধের কাজে নেমে গ্রামের লোকেরাই মজুরি পাবেন। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ সে কারণেই। গ্রামবাসীদের পক্ষে কল্পনা বর্মন নামে এক মহিলা মহকুমাশাসকের সামনে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে বলেই ফেললেন, “কোনও দিনও ভাবিনি প্রশাসন এ ভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। নদী থেকে বালি পাথর তুলে সংসার চলে। বাঁধের জন্য সবাইকে বলেছি। কেউই এতদিন কিছু করেনি। এ বার বর্ষায় আর রাত জাগতে হবে না আমাদের।” বাঁধ তৈরি হলে যে গ্রামের লোকেদের আর রাত জাগতে হবে না সেই ব্যাপারে নিশ্চিত মহকুমাশাসকও। তিনি বলেন, “সমস্ত পরিকল্পনা করেই কাজে নামা হয়েছে। নদীর স্রোত যাতে ডানদিকে সরে না-আসে সেদিকেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গ্রামের অন্যান্য সমস্যা কী ভাবে দূর করা যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।” কেবল মাউরিয়া বস্তিই নয়, মাটিগাড়া ব্লক প্রশাসনের উদ্যোগে একশো দিনের প্রকল্পে একাধিক কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। পাথরঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের নিউ চামটা এলাকায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পে ১৮ লক্ষ টাকা ব্যয় তৈরি করা হচ্ছে পুকুর। মাটিগাড়া-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের লচকা বস্তিতে স্থানীয় একটি নালার ভাঙন রোধ করতে ৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হচ্ছে পাড় বাঁধাইয়ের কাজ। চম্পাসারি এলাকায় গ্রামীণ সড়ক তৈরির কাজ হচ্ছে। আঠারোখাই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দক্ষবালা বর্মন বলেন, “কয়েক বছর আগে মাউরিয়া বস্তির বাঁধ তৈরির প্রকল্প জমা দেওয়া হয়েছিল। এতদিন কিছুই হয়নি। বিডিও সাহেব উদ্যোগী হওয়ায় এতদিনে কাজ শুরু হল।”এদিন এলাকার রিঙ্কু রায়-সহ বেশ কিছু বাসিন্দা অভিযোগ করেন, তাঁরা একশো দিনের এই প্রকল্পে কাজ পাননি। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জানান, প্রত্যেককে কাজ দেওয়া হবে। যাঁদের জব কার্ড নেই, ভোটার কার্ড দেখাতে পারলে তাঁদের জন্যও ব্যবস্থা হবে। গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য অভিজিৎ পাল জানান, একশো দিনের প্রকল্পে এলাকায় আরও বেশ কাজের জন্য তাঁরা ব্লক প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব দিয়েছেন। বিডিও বলেন, “ব্লকের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েতে একশো দিনের প্রকল্পে কাজের ব্যবস্থা করা হবে।”
সচেতনতা সভা। সারা বছরই হাতির তাণ্ডব। হাতির পাল ফসল নষ্ট করে, বাড়ি ভাঙচুর করে। গত বছর হাতির হামলায় এক ব্যক্তির মৃত্যুও হয়। বৃহস্পতিবার বাগডোগরার সেই কেষ্টপুর গ্রামে সচেতনতা সভা করল ডুয়ার্সের নেচার অ্যান্ড অ্যাডভেঞ্চার সংস্থা। আহ্বায়ক সুজিত দাস জানান, বাসিন্দাদের বিকল্প চাষে নামার পরামর্শ দেওয়া হয়।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.