|
|
|
|
গ্যাসের অভাবে বন্ধ কলকাতার ক্যান্টিন |
রক্ষণাবেক্ষণে ঢিলেমির অভিযোগ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ না-যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরসভার কলকাতায় তৈরি অতিথি নিবাসের ক্যান্টিন। চলতি মাসের ১ তারিখ থেকে সিলিন্ডার সরবরাহ জনিত সমস্যার জেরে কলকাতার বেলেঘাটায় তৈরি ওই অতিথি নিবাসের ক্যান্টিন বন্ধ রয়েছে। ওই ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা, পড়াশোনা-সহ নানা কাজে কলকাতায় যাওয়া শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। খাবারের খোঁজে বেলেঘাটা এলাকায় খাবারের দোকানের খোঁজে বার হয়ে হন্যে হতে হচ্ছে তাঁদের। রাতের খাবারের ব্যবস্থা করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সেখানে ক্যান্টিন চালু করার দাবিতে অতিথি নিবাসের কয়েকজন বাসিন্দা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিলিগুড়ির কয়েকজন কাউন্সিলরকেও ঘটনাটি জানান। শেষ পর্যন্ত কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আয়ত্বে আসে। তবে এদিনও বাসিন্দাদের বাইরে তেকেই খাবার সংগ্রহ করতে হয়। ঘটনাটি জানার পরে শিলিগুড়ির মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত অবশ্য এদিন ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, “গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে সমস্যার জেরে আপাতত ক্যান্টিন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাতে বোর্ডারদের সমস্যার কথা জানি। দ্রুত সেটি চালু করা হবে বলে ঠিক হয়েছে।”
প্রতিদিন পড়াশোনা, চিকিৎসা-সহ নানা প্রয়োজনে শিলিগুড়ির বহু বাসিন্দাকেই কলকাতায় যেতে হয়। রাত্রিবাসের জন্য তাঁদের ভরসা বলতে ছিল কিছু হোটেল। কিন্তু হোটেলের ভাড়া, অপরিচ্ছন্নতা, নিরাপত্তাজনিত সমস্যা-সহ নানা কারণে বাসিন্দাদের বিপাকে পড়তে হয়। বাসিন্দাদের এই সমস্যার কথা বিবেচনা করেই শিলিগুড়ি পুরসভার প্রথমে শিয়ালদহ লাগোয়া মৌলালিতে একটি ভবনের কয়েকটি ঘর ভাড়া নেয়। কিন্তু রাতে সেখানেও নিরাপত্তা ও খাবারের সমস্যা থাকায় বাসিন্দাদের ক্ষোভ দূর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে ২০০৬ সালের ডিসেম্বর মাস নাগাদ বেলেঘাটা এলাকায় শিলিগুড়ি পুরসভা ওই অতিথি নিবাস তৈরি করে। ক্যান্টিনের ব্যবস্থাও করা হয়। ফলে অতিথি নিবাসটি পুরসভার পক্ষে লাভজনক হয়ে ওঠে। সারা বছর সেখানে ভিড় থাকে। রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সংগ্রহে সমস্যার জেরে আচমকা ক্যান্টিন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেকেই পুর কর্তৃপক্ষের দায়িত্বজ্ঞান নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন। ক্যান্টিন বন্ধ থাকার কথা বুকিংয়ের সময়েই কেন জানানো হচ্ছে না, সেই প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি অনেকেই রক্ষনাবেক্ষণ-সহ নানা বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, নিয়মিত রক্ষনাবেক্ষণ তো দূরের কথা, সাধারণ নাগরিকরা প্রায়ই ঘর পান না। অথচ পুরসভার কাউন্সিলর কিংবা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা চাওয়া মাত্র ঘর পেয়ে যাচ্ছেন। গোটা ঘটনায় বিরক্ত শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র নুরুল ইসলামও। তিনি বলেন, “আমাদের সময়েই বাসিন্দাদের নিরাদপদ আশ্রয় এবং খাবারের ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখেইঅতিথি নিবাস তৈরি করা হয়েছিল। আচমকা ক্যান্টিন বন্ধ করা হলে বাসিন্দাদের সমস্যা হওয়াই স্বাভাবিক। অতিথি নিবাসের রক্ষনাবেক্ষণে ঢিলেমির বিষয়টি পুরসভার বোর্ড মিটিংয়েও তোলা হয়েছে। বর্তমান পুর কর্তৃপক্ষ কেন নজর দিচ্ছেন না, তাঁদেরই সেই প্রশ্নের জবাব দেওয়া উচিত।”
মেয়র বলেন, “কলকাতা অতিথি নিবাসের সমস্ত সমস্যাই দূর করা হবে। ঘরের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় নতুন একটি ভবন তৈরির পরিকল্পনা হয়েছে। খাবারের পাশাপাশি, ছোটখাটো প্রয়োজনী সামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থাও রাখার পরিকল্পনা হয়েছে।” |
|
|
|
|
|