পুলিশ সংগঠনের অনুমতি খারিজ করার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের করা মামলার বিচার করার এক্তিয়ার তাদের আছে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস বৃহস্পতিবার জানান, এই মামলার শুনানি হাইকোর্টেই হবে, রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে নয়।
পুলিশকর্মীদের সংগঠন করার অধিকার হরণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছে বিভিন্ন পুলিশ সংগঠন। ইতিমধ্যে পুলিশ সংগঠনের অফিসঘর উচ্ছেদও শুরু হয়ে গিয়েছিল। সেই বিষয়টিও এই মামলায় এসেছে। অফিসঘর উচ্ছেদের উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে, শুনানি শুরু হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আদালতে বলেছিলেন, পুলিশ সংগঠনের অনুমতি সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ারই নেই কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্য প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালেই এই মামলার বিচার হওয়ার কথা। আবেদনকারী দু’টি পুলিশ সংগঠনের পক্ষে আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও অরুণাভ ঘোষ অবশ্য সওয়ালে বলেন, পুলিশ-সহ সরকারি কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ক্ষোভ, চাকরি সংক্রান্ত সমস্যা, বেতন বা অন্যান্য বৈষম্য ইত্যাদি অভিযোগের বিচার করে ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু সংগঠন করাটা মৌলিক অধিকার। তাই সংগঠন সংক্রান্ত মামলা শোনার এক্তিয়ার অবশ্যই আছে হাইকোর্টের।
বিচারপতি জয়ন্ত বিশ্বাস এ দিন জানিয়ে দেন, এই মামলার শুনানি ট্রাইব্যুনালে নয়, কলকাতা হাইকোর্টেই হবে।
একই সঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন পুলিশ সংগঠনকে তাদের অফিসঘর থেকে উচ্ছেদ করার উপরে স্থগিতাদেশ আপাতত বলবৎ থাকবে। সংগঠনের আইনজীবীরা রাজ্য সরকারের পুলিশ সংগঠনের অনুমতি খারিজের নির্দেশের উপরেও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানান। বিচারপতি বিশ্বাস জানিয়ে দেন, এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে ২৯ ফেব্রুয়ারি শুনানি হবে। |