আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির প্রস্তাবিত সাধারণ ধর্মঘটকে বেআইনি ঘোষণা করার আর্জি জানিয়ে এক দিকে জনস্বার্থের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। অন্য দিকে, ওই ধর্মঘটের দিনে অফিসে হাজিরা সংক্রান্ত সরকারি নির্দেশিকার প্রতিবাদে আজ কাজের সময়েই মহাকরণে বিক্ষোভ-সমাবেশ করল একটি কর্মী-সংগঠন।
হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলাটি করেছেন আইনজীবী আবিররঞ্জন নিয়োগী। আবেদনে বলা হয়েছে, ধর্মঘট হলে তার প্রভাবে গোটা রাজ্যই অচল হয়ে যাবে। রাজ্যের আর্থিক সঙ্কটের সময়ে ওই এক দিনে বহু কোটি টাকা ক্ষতি হবে। নিরাপত্তার সমস্যাও দেখা দেবে। এরই মধ্যে, আজ, শুক্রবার থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। সেই প্রসঙ্গ তুলে আবেদনটিতে বলা হয়েছে, ধর্মঘটের জেরে কোথাও আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সমস্যা হলে তার জেরে পরীক্ষায় অসুবিধা হবে। আজ, শুক্রবারই কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটির শুনানি হতে পারে।
মহাকরণে বৃহস্পতিবার ছিল দু’টি সংগঠনের কর্মসূচি। ধর্মঘটের বিরোধিতা করে তৃণমূল-সমর্থিত কর্মী সংগঠন ‘ইউনাইটেড স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লইজ ফেডারেশন’-এর সমর্থকরা এ দিন টিফিনের সময় বড় মিছিল করেন। অন্য দিকে, প্রস্তাবিত ধর্মঘটের দিনে কাজে যোগদানের ব্যাপারে মুখ্যসচিবের নির্দেশিকা প্রত্যাহারের দাবিতে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল গভর্নমেন্ট এমপ্লইজ ইউনিয়ন’ (নবপর্যায়)-এর সমর্থকরা মহাকরণের বিভিন্ন তল পরিক্রমা করেন। আজ এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে তাঁদের এই বিক্ষোভ-সমাবেশ।
কিন্তু এখানেই উঠে এসেছে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ। সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, টিফিনের সময়ে বেলা দেড়টা থেকে আধ ঘণ্টা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন। কিন্তু আজ ‘নবপর্যায়’-এর এই বিক্ষোভ চলেছে বেলা ২টো ৩৫ পর্যন্ত। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমীররঞ্জন মজুমদার এ দিন বললেন, “বিক্ষোভের সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার নির্দেশিকাটা পুরোপুরি বিতর্কিত।”
মহাকরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের সহকারী কমিশনার বিশ্বনাথ পাণ্ডে পরে জানান, “আমরা অশান্তি এড়াতে বলপ্রয়োগ করিনি। বিক্ষোভ যে ভাল ভাবে মিটে গিয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিবকে জানিয়ে এসেছি।” সরকার কেন শৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা করছে না? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে শ্রমমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু এ দিন বলেন, “সরকারকে অনেক সহ্যক্ষমতা রাখতে হয়। সময় মতো যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।” |