দু’টি পৃথক দুর্ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতেরা হলেন বিষ্ণুপুর থানার চৌবাটা এলাকার সাধন পাল (৪০) ও বাঁকুড়া শহরের অমর বাউরি (২৫)। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়া-মেদিনীপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে, চৌবাটা অঞ্চলে এবং বুধবার রাতে অপর দুর্ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুরের জয়পুর জঙ্গল লাগোয়া অঞ্চলে। চৌবাটা অঞ্চলে জওয়ানদের গাড়ির ধাক্কায় সাধনবাবুর মৃত্যু হওয়ায় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণের দাবিতে দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত তিন ঘণ্টা অবরোধ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সাধনবাবু পেশায় কাঠমিস্ত্রি ছিলেন। ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে তিন জনের পরিবার। মিঠুদেবী বলেন, “আমাদের দিন আনা-দিন খাওয়া পরিবার। স্বামীর রোজগারে দিন চলত। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।” এসডিপিও (বিষ্ণুপুর) দিব্যজ্যোতি দাস বলেন, “ইএফআর জওয়ানদের গাড়ি ছিল। তদন্ত শুরু হয়েছে।” অন্য দিকে, বুধবার রাতে জয়পুর জঙ্গলের কাছে রড বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে ধান বোঝাই ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। সেই সময় ধান বোঝাই ট্রাকের খালাসি অমর বাউরির মৃত্যু হয়।
|
বধূকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির ন’জন সদস্যের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বিষ্ণুপুর থানা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার নাম মঞ্জু বসু (৩০)। মঙ্গলবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে মৃত্যু হয় মঞ্জুদেবীর। বুধবার রাতে মঞ্জুদেবীর জামাইবাবু রজতকুমার দেব বিষ্ণুপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। রজতবাবুর অভিযোগ, “২০০৭ সালে বিষ্ণুপুরের কাদাকুলি এলাকার বাসিন্দা মঞ্জুর বিয়ে হয় শহরেরই বোসপাড়া এলাকার নীলাদ্রি বসুর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই তার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা। গত সোমবার শ্বশুরবাড়ির লোকজনেরা মঞ্জুকে বাড়ি থেকে জোর করে বের করে দেয়। বাধ্য হয়েই বাপের বাড়ি চলে আসে সে। ওই দিনই সন্ধ্যায় গায়ে আগুন দেন মঞ্জু।” তিনি জানান, গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। কাদাকুলি এলাকার কাউন্সিলর দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, “বিয়ের পর থেকেই মেয়েটির উপর অত্যাচার করা হত বলে আমার কাছে অভিযোগ এসেছিল। অনেকবার দু’পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসলেও বিবাদ মেটানো সম্ভব হয়নি।” পুলিশ জানিয়েছে, মঞ্জুদেবীর স্বামী-সহ তাঁর শ্বশুরবাড়ির ন’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।
|
বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীর প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার থেকে বাছাই পর্ব শুরু হল পুরুলিয়া জে কে কলেজ মাঠে। অতিরিক্ত জেলাশাসক হৃষিকেশ মুদি জানান, মোট ২৮০০টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এ দিন থেকে তাঁদের শারীরিক সক্ষমতার পরীক্ষা নেওয়া শুরু হয়েছে। এ দিন পুরুলিয়া ১ ও ২ ব্লকের আবেদনকারীদের ডাকা হয়েছিল। ঝালদার ডুরগি গ্রামে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের যৌথ উদ্যোগে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। রাজ্যর কারিগরী শিক্ষা দফতরের ৩০ একর জমিতে ওই কেন্দ্র গড়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ দেবেন সামরিক বাহিনীর আবসরপ্রাপ্ত জওয়ানরা। বাড়িতে আগুন। শর্ট-সার্কিটে বৃহস্পতিবার আগুন লাগল রামপুরহাটের বিদ্যাসাগর পল্লির একটি বাড়িতে। প্রথমে বাসিন্দারা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। পরে দমকল এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
|
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে এক তরুণীর সঙ্গে সহবাসের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বচন মাঝিকে ধরেছে। বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার বৈরিপাল গ্রমে তাঁর বাড়ি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ওই তরুণী বুধবার পুলিশের কাছে বচনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। রাতেই বাড়ি থেকে বচনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রানিবাঁধ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তরুণীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে খাতড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজত হয়। ওই তরুণী অভিযোগে জানিয়েছেন, গত ছ’সাত মাস ধরে বচনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ট সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন বচন। কিন্তু দিন তিনেক আগে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন ওই যুবক। অবশ্য অভিযুক্তের বাবা পঞ্চানন মাঝির দাবি, “মিথ্যা অভিযোগে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।”
|
বেআইনি হেরোইন কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করল বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৮০০ গ্রাম কাঁচামাল, আটক করা হয়েছে মোটরবাইক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কমল ধাড়া। ৩৫ বছরের ওই যুবকের বাড়ি সোনামুখী থানার নিত্যানন্দপুর গ্রামে। বৃহস্পতিবার ধৃতকে বাঁকুড়া আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন। বুধবার রাতে পুলিশ ও মাদক নিরোধক বিভাগের আধিকারিকেরা নিত্যানন্দপুর গ্রামে হানা দিয়ে হেরোইন তৈরির উপকরণ-সহ কমলকে গ্রেফতার করে। জেলা পুলিশ সুপার প্রণব কুমার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে কমল ধাড়া নামে ওই যুবক হেরোইন কারবারে জড়িত বলে গ্রেফতার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ৮০০ গ্রাম কাঁচামালের বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮ লক্ষ টাকা। বাইক আটক করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এতে আর কেউ জড়িত আছে কি না।”
|
ছাত্রীকে ধর্ষণ করায় অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করার দাবিতে থানায় স্মারকলিপি দিল ফরওয়ার্ড ব্লক। ওই শিক্ষককে অবিলম্বে ধরার দাবিতে বৃহস্পতিবার বাগমুণ্ডি থানায় স্মারকলিপি দিয়েছে ফরওয়ার্ড ব্লক। এ দিন বাগমুণ্ডিতে তারা ধিক্কার মিছিল করে। বাগমুণ্ডির একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলের হোস্টেল সুপার শনিবার ওই ছাত্রীটিকে হোস্টেলে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বলে আভিযোগ। ছাত্রীটি প্রথমে ঘটনার কথা কাউকে না জানালেও পরে সহপাঠীদের জানায়। তারাই ঘটনার কথা ছাত্রীটির বাবা মাকে জানায়। বুধবার বাগমুণ্ডি থানায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আভিযোগ জানান ওই ছাত্রীটির বাবা। অন্য দিকে ঘটনার কথা চাউর হতেই এলাকার বাসিন্দারা ওই স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। ফলে স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তপক্ষ। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক। তার সন্ধান করা হচ্ছে। |