দৃষ্টি প্রতিবন্ধী স্কুলের অচলাবস্থা কাটাতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। নানা দাবিতে ওই স্কুলের দরজায় ছাত্রদের লাগানো তালা বৃহস্পতিবার ভেঙে দেন পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) হৃষিকেশ মুদি।.তবে স্কুলের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। প্রশাসনের চেষ্টা সত্বেও এ দিন ক্লাস করেনি ছাত্রছাত্রীরা।.অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, “আমরা পড়ুয়াদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। তাদের বোঝানোর চেষ্টা করা হয়।”
পুরুলিয়া ২ ব্লকের বোঙ্গাবাড়িতে মানভুম দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষায়তনের অচলাবস্থা চলছে গত ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে। ‘ব্রেল’ পদ্ধতিতে পড়ানোর সরঞ্জাম না থাকা, ছাত্রাবাসে নিম্নমানের খাবার দেওয়া, স্কুলের পরিকাঠামোর ঘাটতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ তুলে সে দিন স্কুলে তালা দিয়েছিল পড়ুয়ারা। |
পরে স্কুলের টিচার-ইনচার্জকে সরানোর দাবিতে ১৫ ফেব্রুয়ারি তারা অনশন করে।.স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা পুরুলিয়া (সদর) মহকুমা শাসক সুদীপ্ত ভট্টাচার্য স্কুলে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপরে তারা অনশন প্রত্যাহার করে। কিন্তু স্কুলের তালা খুলে পড়ুয়ারা পঠন পাঠন শুরু করতে রাজি হয়নি। পরে এ নিয়ে স্কুলের পরিচালন সমিতির বৈঠকও হয়। কিন্তু সমস্যা মেটেনি। এই প্রেক্ষিতেই স্কুলের সমস্যা সমাধানে কড়া পদক্ষেপ নিল জেলা প্রশাসন। এ দিন সকালে জেলা শাসকের নির্দেশে অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক ও পুলিশ নিয়ে স্কুলে যান। ছাত্রছাত্রীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখায়। তা বিশেষ আমল না দিয়ে কড়া মনোভাব দেখিয়েই স্কুলের দরজায় লাগানো তালা খুলে দেওয়া হয়। হৃষিকেশবাবু বলেন “আমরা স্কুলের স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর চেষ্টা করছি। এ দিন পড়ুয়াদের জানানো হয়েছে, তাদের সমস্যাগুলি মেটানো হবে।” তবে পড়ুয়াদের অন্যতম দাবি, টিচার- ইনচার্জকে সরানো হচ্ছে না বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত প্রশাসন প্রথম থেকেই বলে এসেছে স্কুলের অচলাবস্থা তৈরির জন্য ছাত্রছাত্রীদের প্ররোচিত করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা শাসক জানান, তাঁরা কড়া মনোভাব নিয়ে স্কুলের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। স্কুলের পরিবেশ স্বাভাবিক রাখার জন্য শিক্ষকদের ভুমিকা যাতে আরও ইতিবাচক হয় তাও দেখা হচ্ছে । তিনি বলেন “পড়ুয়াদের প্ররোচিত করে স্কুলে অচলাবস্থা তৈরির চেষ্টা বরদাস্ত করা হবেনা” টিচার-ইনচার্জ রীতা নাথ বলেন, “পড়ুয়াদের বুঝিয়ে ক্লাসে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।” স্কুলে পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। |