দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে মাধ্যমিক পরীক্ষার আগে পর পর দু’রাত ধরে সাঁইথিয়া রেল মাঠে যাত্রাপালা হল। দিনের বেলায় মাইকে যাত্রার প্রচারও চালানো হয় বলে বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ। এ নিয়ে শহরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তবে প্রশাসন এই নিয়ম ভঙ্গের জন্য বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনও আইনি পদক্ষেপ করেনি।
আমরা কজন নামে একটি সংস্থা ওই যাত্রাপালার আয়োজন করেছিল। কলকাতার দু’টি নাট্য গোষ্ঠীর কুশীলবরা মঙ্গলবার ও বুধবার সাঁইথিয়া রেল মাঠে যাত্রাপালা করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার তিন দিন আগে থেকে রাজ্যে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই নির্দেশ দিয়েছে। তার পরেও ওই দু’দিন অনেক রাত পর্যন্ত যাত্রা হল কি করে, তা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। সিউড়ি সদর মহকুমাশাসক সুজয় আচার্য বলেন, “সোমবার সকালে আমি আয়োজকদের যাত্রা করার অনুমতি দিয়েছিলাম। পরে তা বাতিল করার নির্দেশ দিই। সেই নিষেধাজ্ঞা না মেনেই মঙ্গলবার ও বুধবার পর পর দু’দিন ধরে যাত্রাপালা হয়। খোঁজ নিয়ে দেখার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ঘেরা জায়গার মধ্যে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে যাত্রা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এ নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে, আমরা অবশ্যই খতিয়ে দেখব।”
যাত্রার আয়োজক সংস্থার সম্পাদক তিলক সিংহের দাবি, “যাত্রার প্রস্তুতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয় পুরপ্রধান থেকে সদর মহকুমাশাসক আগাম অনুমতিও দিয়েছেন। যাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ আমরা পাইনি। পরে মাধ্যমিক পরীক্ষার কথা খেয়াল হওয়ায়, প্যান্ডেলের বাইরে কোনওরকম মাইক বা বক্স বাজানো হয়নি।” সাঁইথিয়ার পুরপ্রধান কংগ্রেসের বীরেন্দ্রকুমার পারখ বলেন, “প্রথমে ওদের যাত্রা করার অনুমতি দিয়েছিলাম। পরে মহকুমা শাসকের যাত্রা বন্ধ করার নির্দেশ পত্র পাই। পুলিশকেও ওই নির্দেশের কথা মৌখিক ভাবে জানাই। তারপরেও কী করে দু’দিন ধরে যাত্রাপালা হল, সেটাই প্রশ্ন।”
বাসিন্দাদের অভিযোগ, সন্ধ্যা থেকে রাত প্রায় ১২টা পর্যন্ত যাত্রা চলেছে। সারা দিন ধরে মাইকে প্রচারও চালানো হয়েছে। পুলিশ বা প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে, আয়োজক সংস্থার দাবি, মঙ্গলবার মাইকে প্রচার করা হলেও বুধবার প্রচার বন্ধ রাখা হয়। মহকুমাশাসক জানান, দিনের বেলায় মাইকে যাত্রার প্রচার করা হয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |