ছাত্র সংসদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংঘর্ষের জেরে নির্বাচন স্থগিত হয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট কলেজে। প্রতিবাদে রেল অবরোধ করেন এসএফআইয়ের সমর্থকেরা। সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন জখম হয়েছেন। কয়েকজন শিক্ষককে ধাক্কাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবারের মহকুমাশাসক কৌশিক ভট্টাচার্য ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কঙ্করপ্রসাদ বারুই কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষই ফের নির্বাচনের দিন স্থির করবেন।” |
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মগরাহাট কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন ছিল। কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ২৪টি আসনে দু’পক্ষই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিল। বতর্মানে ছাত্র সংসদ এসএফআইয়ের দখলে রয়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ নির্বাচন শুরু হয়। নির্বাচন চলার মাঝেই এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। ছিঁড়ে ফেলা হয় ব্যালট। ব্যালট বক্স ভাঙচুর করা হয় অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে নিবার্চন স্থগিত করার কথা ঘোষণা করেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। এসএফআইয়ের অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বহিরাগতদের নিয়ে এসে এসএফআই সমর্থকদের কলেজে ঢুকতে বাধা দিতে থাকে। তাঁরা প্রতিবাদ করলে তাঁদের সমর্থকদের মারধর করা হয়। অন্যদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পাল্টা দাবি, এসএফআই মিথ্যা অভিযোগ তুলে পায়ে পা দিয়ে সংঘর্ষ বাধায়।
কলেজের অধ্যক্ষ মনোজ গুহ বলেন, “নির্বাচন চলার সময় হঠাৎই দু’দলের মধ্যে সর্ংঘষ বেধে যায়। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে এই সংঘর্ষ হয়েছে তা জানি না।” শিক্ষকদের ধাক্কাধাক্কি করার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সর্ংঘষের সময় কয়েক জন শিক্ষককে সামান্য ধাক্কা দেওয়া হয়। তবে এ নিয়ে পুলিশে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।”
সংঘর্ষের জেরে কলেজ কর্তৃপক্ষ নির্বাচন স্থগিতের কথা ঘোষণা করায় প্রতিবাদে রেললাইন অবরোধ করেন এসএফআই সমর্থকেরা। ঘণ্টাখানেক অবরোধ চলার পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলা সিপিএমের সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “সারা রাজ্যে টিএমসিপি সন্ত্রাস সৃষ্টি করে কলেজে ছাত্র সংসদের নির্বাচন পণ্ড করে দিচ্ছে। মগরাহাট কলেজে নির্বাচন পণ্ডের ঘটনায় সেই সংখ্যাটা আরও একটা বাড়ল।” অন্যদিকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন পণ্ড করাটা এসএফআইয়ের ‘ট্র্যাডিশন’। ওরাই সংঘর্ষ বাধিয়ে টিএমসিপিকে দোষারোপ করছে।” |