|
|
|
|
হুমকি, হামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
পাঠাগারের পরিচালন সমিতির নির্বাচনে পৃথক ভাবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ায় কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীদের উপরে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এগরা ২ ব্লকের বাথুয়াড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অস্তিচক মৈত্রেয়ী সঙ্ঘ ও পাঠাগার নির্বাচনের দুই কংগ্রেস প্রার্থী বৃহস্পতিবার এগরা থানায় এই নিয়ে অভিযোগও দায়ের করেছেন। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। সরকার পরিপোষিত এই গ্রন্থাগারে গত বার ক্ষমতায় ছিল বামেরা। এগরার বাথুয়াড়ি, পটাশপুরের আড়গোয়াল ও সাউৎখণ্ড, মারিশদার ভাজাচাউলি এবং ভূপতিনগরের অর্জুননগর পঞ্চায়েত এলাকার পাঠকেরা এর ভোটার। পরিচালন সমিতির আটটি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ২৬ ফেব্রুয়ারি। আটটি আসনের সব ক’টিতে তৃণমূল সমর্থিতেরা ও ৫টিতে কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দেন। অস্তিচক এলাকার কংগ্রেস নেতা বারিদবরণ মোহান্তির অভিযোগ, “গত বারের বিজয়ী সিপিএমের দু’জনকে এ বার নিজেদের দলে নিয়ে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। প্রতিবাদ জানানোয় আমাদের দলের কাউকে প্রার্থী হতে দেয়নি ওরা। তাই আমরা পৃথক ভাবে প্রার্থী দিই। তারপর থেকেই আমাদের প্রার্থী ও ভোটারদের উপরে হামলা চালাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন।” অভিযোগ, অস্তিচক এলাকার কংগ্রেস সমর্থিত প্রার্থী দুলাল পয়ড়্যাকে বাড়ি থেকে তৃণমূলের কার্যালয়ে তুলে এনে হুমকি দেওয়া হয়। কংগ্রেস প্রার্থী গয়ারাম মাইতির বাড়িতেও তৃণমূলের লোকজন হামলা চালায় বলে অভিযোগ। উত্তর চৌমুখ গ্রামের আর এক প্রার্থী অনুপ বরকেও গ্রন্থাগারে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য হুমকি দেওয়া হয়। এগরার তৃণমূল নেতা প্রকাশ রায়চৌধুরী অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “তৃণমূলকে বেকায়দায় ফেলতে সিপিএমের সঙ্গে জোট বেধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে কংগ্রেস। এলাকায় কংগ্রেসের কোনও ভিত্তি নেই। তাই সিপিএমকেই ভরসা করছে ওরা। |
|
|
|
|
|