আই লিগের মাঝপথে বিদেশিদের নিয়ে নতুন বিতর্ক অধিকাংশ ক্লাবে।
মোহনবাগানের ব্রাজিলিয়ান তারকা হাদসন লিমা চোট নিয়ে ব্রাজিল ফিরে গেলেন। কবে ফিরবেন, তা নিয়ে নানা তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। ক্লাবে গুঞ্জন, তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে। ক্লাবের অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বলছেন, “তিন সপ্তাহ পরে ফিরবে।” কিন্তু চোট না সারিয়ে কেন তিনি চলে গেলেন, প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন আছে, কবে ফিরবেন মাঠে। অনেকেরই ধারণা, হাদসন ফিরলেও তাঁর এ বার খেলা কঠিন।
|
র্যান্টি: মারলেন
ম্যানেজারকেই |
বিতর্কে জড়ালেন র্যান্টি মার্টিন্সও। গোয়া লিগে বৃহস্পতিবার ডেম্পো-সালগাওকর ম্যাচে প্রতিপক্ষের ব্রাজিলিয়ান লুসিয়ানোর সঙ্গে তুমুল মারপিট করলেন। লাল কার্ড দেখেন দু’জনেই। মাঠের বাইরেও দু’জনের হাতাহাতি কমেনি। এর পরে র্যান্টিকে দেখা যায়, নিজের টিমের দীর্ঘদিনের ম্যানেজার, প্রাক্তন ফুটবলার কাস্তদিও আলমেইদার গলা টিপে ধরতে। ম্যাচটা ডেম্পো ৩-২ জেতে। কিন্তু র্যান্টির আচরণ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে ডেম্পোয়। ইস্টবেঙ্গলে খেলার জন্য এ বার আগ্রহী র্যান্টি। এ নিয়ে চোরা স্রোত রয়েছেই। দেখার ব্যাপার, ঘটনার প্রভাব আই লিগে পড়ে কি না।
ইস্টবেঙ্গলে সমস্যার কেন্দ্রে তিন বিদেশিই। পেন, ওপারার সঙ্গে আর এক মরসুমের চুক্তি রয়েছে। কিন্তু তাঁরা ইঙ্গিত দিচ্ছেন, ক্লাব ছাড়তে চান। ফুটবল সচিব সন্তোষ ভট্টাচার্য বললেন, “আমরা না ছাড়লে যেতে পারবে না। টোলগের সঙ্গে চুক্তি শেষ। ওকেও রাখতে চাই।” মোহনবাগানে সমস্যা ব্যারেটো। তিনি বলেননি, পরের বার খেলবেন কি না। ক্লাব কর্তারাও সরকারি ভাবে চুপ। কিন্তু মোহনবাগান যে তাঁকে রাখার ব্যাপারে আগ্রহী নয়, অধিকাংশ কর্তার কথাতেও বোঝা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলে প্রশ্ন আছে বিদেশি কোচ মর্গ্যানকে নিয়েও। পেন-ওপারার মতো তাঁর সঙ্গেও ক্লাবের চুক্তি আছে। কিন্তু এখানে উল্টো কথাই শোনা যাচ্ছে বেশি। ব্যারেটোর মতো মর্গ্যানও পুরনো ক্লাবে থাকবেন কি না, প্রশ্ন থাকছে। |