এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ শুরুর আগেই বড় লজ্জা ভারতের। বৃহস্পতিবার মাসকাটে ওমানের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে ১-৫ গোলে হারল স্যাভিও মিদেইরার ভারত। শুরুর তিন মিনিটে দু’গোল, শেষের তিন মিনিটে দুই গোলমাঝখানে ভারত চেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু তেমন গোছানো ফুটবল দেখা গেল না। কোচ পরীক্ষা নিরীক্ষার উপর জোর দেওয়ায় ভারতের হয়ে এ দিনই অভিষেক হল চার ফুটবলারের। গুরজিন্দর সিংহ, লেস্টার ফার্নান্ডেজ, মননদীপ সিংহ, লেনি রডররিগেস। তাঁদের প্রথম ম্যাচেই পাঁচ গোলের লজ্জা নিয়ে ফিরতে হল।
ওমানের মহম্মদ গাসানি এবং ইসমাইলের পর পর দু’টো গোল শুরুতেই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয়। তার পর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ানোর প্রাণপণ চেষ্টা করলেও, হতাশা ছাড়া আর কিছুই জোটেনি ভারতের ভাগ্যে। উল্টে নড়বড়ে রক্ষণ এবং অনভিজ্ঞ মাঝমাঠের সুযোগ নিয়ে গোলের ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় ওমান। টেনেটুনে বিরতি পর্যন্ত কোনও রকমে ওমানকে ০-২ আটকে রাখতে পেরেছিল। কিন্তু বিরতির পরে রক্ষণের ভুলে খুব সহজেই ইসমাইলের দ্বিতীয় গোল। ওমানের ৩-০। জাতীয় দলে বহু দিন বাদে ফিরলেন আনোয়ার। কিন্তু সমীর নায়েক-গৌরমাঙ্গিদের পাশে মোহনবাগান স্টপারকে অনেকটাই ছন্দহীন লাগল।
ডেম্পোর জোয়াকিম আব্রাঞ্চেস সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী, জেজে না থাকায়। ভাল গোল করলেন। নবিকেও প্রথম দলে রাখেননি স্যাভিও। পরে নেমে রহিম নবি গোলটা করানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন। ম্যাচের এক ঘণ্টার মাথায় নবি নামতেই ১-৩ করে ফেলে ভারত। নবির সৌজন্যেই বেশ কিছুক্ষণ বিপক্ষের ওপর চাপ বজায় রাখে স্যাভিওর দল। যদিও সুযোগ নষ্টের বদভ্যাসে গোলের ব্যবধান কমাতে পারেননি সুশীলরা।
নবির মতো লজ্জার দিনে আর একটা উজ্জ্বল মুখ হল জুয়েল রাজা। মাঝমাঠে যে টুকু খেলা হল, তাতে জুয়েলের ভূমিকাই সবচেয়ে বেশি। দু’তিনটে গোলের সুযোগও পেয়েছিলেন। দু’র্ভাগ্য, সব ক’টা শটই বারের গা ঘেঁষে বেরিয়ে গেল। না হলে ওপরের স্কোরলাইনে বজবজের ফুটবলারটির নামও জ্বলজ্বল করত!
কোনও সন্দেহ নেই, এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপের আগে পাঁচ গোলের লজ্জা চিন্তায় রেখে দিল ভারতকে!
ভারত: করণজিৎ, সমীর, আনোয়ার, গৌরমাঙ্গি, গুরজিন্দর, অ্যান্টনি (নবি), বলদীপ (লেনি), লেস্টার (ফ্রান্সিস), জুয়েল, সুশীল (মননদীপ), জোয়াকিম। |