মোহনবাগানের আই এফ এ শিল্ড জয়ের শতবর্ষ চলছে। অথচ সেই টুর্নামেন্টে তাদের খেলা নিয়েই ধোঁয়াশা তৈরি হল। পাশাপাশি এ এফ সি কাপে ইস্টবেঙ্গলের ইরাকি ক্লাবের সঙ্গে সে দেশে খেলা নিয়ে সমস্যা দেখা দিল। নিরাপত্তার কারণে, ম্যাচ হতে পারে নিরপেক্ষ জায়গায়। ইস্টবেঙ্গল অবশ্য তাদের হোম ম্যাচ কলকাতায় খেলবে।
মোহনবাগানের সাত জন ফুটবলার জাতীয় শিবিরে থাকবেন। ওডাফা, ব্যারেটো, লিমাদের চোট। এই অবস্থায় মোহনবাগান কর্তারা ঠিক করেছেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টিমের হাল দেখে শিল্ডে খেলার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অর্থ সচিব দেবাশিস দত্ত বৃহস্পতিবার বলে দিলেন, “আজ ওডাফার এম আর আই হয়েছে। আরও দুই বিদেশির এমন চোট এখন খেলার সম্ভাবনাই নেই। অনেক ফুটবলার জাতীয় দলে আটকে। এই অবস্থায় খেলা যাবে কী না সেটা নিয়ে আরও চার দিন অপেক্ষা করব। যদি ওডাফা শিল্ড খেলতে গিয়ে চোট পেয়ে বসে যায় তা হলে কলকাতা লিগ এবং জাতীয় লিগে আমরা প্রচন্ড সমস্যায় পড়ব।” কর্তারা কোচেদের উপর ব্যাপারটা ছাড়তে চাইলেও কোচেরা আবার পাল্টা তাঁদের দিকেই বল পাঠিয়ে দিয়েছেন। টিডি সুব্রত ভট্টাচার্য বললেন, “ক্লাব বললে যারা থাকবে, তাদের নিয়েই খেলব।”
বহুদিন ট্রফি নেই মোহনবাগানে। প্রেসিডেন্ট টুটু বসু বলেছিলেন, “২০১২র শিল্ডই শতবর্ষের শিল্ড।” কর্তারা যাই বলুন, আসলে আই এফ এ-র সঙ্গে মোহনবাগানের যে ঝামেলা শুরু হয়েছে শিল্ডে না খেলার ব্যাপারে সেটাই কারণ বলে মনে করেছেন অনেকেই। কয়েক দিন আগেই মোহনবাগান সহসচিব সৃঞ্জয় বসু ঘোষণা করেছিলেন, আই এফ এ-র অগ্নিকান্ডের নতুন করে তদন্ত চেয়ে মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ কমিশনারের দ্বারস্থ হবেন। চিঠি দেওয়ার কথা ছিল গত সোমবার। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ রকম কোনও চিঠি তৈরিই হয়নি। সচিব অঞ্জন মিত্র বলে দিলেন, “আমি বাইরে আছি। কথাবার্তা চলছে। চিঠি তৈরি হয়নি।”
মাচের্র শুরুতে শিল্ডের সূচি ঘোষণা করবে বলে ঠিক করেছে আই এফ এ। এখনও অবশ্য তারা ঠিক করতে পারেনি কতগুলি দলকে নিয়ে শিল্ড হবে। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, “মোহনবাগানের সঙ্গে কথা বলব। ওদের শিল্ড জয়ের শতবর্ষ চলছে। আশা করি ওরা খেলবে।” |