এক দিনের ক্রিকেট থেকে সচিন তেন্ডুলকরের অবসর নেওয়া উচিত বলে যে বিতর্কে এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেট উত্তাল, তাতে আজ নতুন মাত্রা যোগ করলেন দিলীপ বেঙ্গসরকর। এবং নিজের প্রাক্তন টিমমেট কপিল দেবের মন্তব্যের উল্টো পথে হেঁটে বলে দিলেন, “সচিনের মতো কিংবদন্তিকে অবসর নিয়ে কারও পরামর্শ দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। নিজের বুটজোড়া কবে, কখন তুলে রাখতে হবে, সেটা ওর থেকে ভাল আর কেউ বোঝে না।” সচিনের বিকল্প হয়ে ওঠার মতো কেউ যে এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটে নেই, সে কথাটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন বেঙ্গসরকর। বলেছেন, “দলে সচিনের ফাঁকা জায়গা ভরাট করতে পারে, এমন ক্রিকেটার এই মুহূর্তে নেই।” শুধু সচিনই নন, অন্য সিনিয়রদের বিকল্প হয়ে ওঠার মতো ক্রিকেটারও ভারতের হাতে আপাতত নেই বলেই বেঙ্গসরকর মনে করেন। তাঁর কথায়, “আমাদের রিজার্ভ বেঞ্চের এখনও সেই শক্তি নেই যা দিয়ে আগামী দিনে দলের গ্রেট ক্রিকেটারদের শূন্যতা ঢেকে দেওয়া যাবে।” তাই তাঁর মতে, সচিনকে ছাঁটাই করা নিয়ে এই তর্ক-বিতর্ক এই মুহূর্তে একেবারেই অপ্রয়োজনীয়।
ঊনচল্লিশ বছরের সচিনের পক্ষে এক দিনের ক্রিকেটের ধকল নেওয়া কতদূর সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো প্রাক্তন। সুনীল গাওস্কর মনে করছেন নির্বাচকদের এ বিষয়ে সচিনের সঙ্গে কথা বলা উচিত। কপিল তো সরাসরি বলেছেনই যে, বিশ্বকাপ জেতার পরেই সচিনের এক দিনের ক্রিকেটকে বিদায় জানানো উচিত ছিল। বেঙ্গসরকর কিন্তু সচিনের বয়সকে বড় করে দেখতে নারাজ, “ফিটনেসের দিক দিয়ে সচিন দলের অন্য কারও থেকে কম যায় না। এই বয়সেও টগবগ করছে। ওর একাগ্রতা, ক্রিকেট-প্রেম আর দলের প্রতি দায়বদ্ধতার কোনও তুলনাই হয় না।” বেঙ্গসরকরের মতে, দলে সচিনের উপস্থিতিটাই তরুণদের বাড়তি উদ্বুদ্ধ করার জন্য যথেষ্ট। “ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের দিশা দিতে ড্রেসিংরুমে সচিনের উপস্থিতিটাই যথেষ্ট,” বলছেন বেঙ্গসরকর।
এ দিকে, মহেন্দ্র সিংহ ধোনির বিতর্কিত রোটেশন নীতিকে আজ প্রবল ভাবে সমর্থন করেছেন ওয়াসিম আক্রম, “আমার মনে হয় কিছু সিনিয়র হয় ওর কথা শুনছে না, নয় দলের বোঝা হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় রোটেশন নীতিই সেরা রাস্তা।” পরে যোগ করেছেন, “সচিনের ফিটনেস নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলছে না। কিন্তু ওকে শর্ট থার্ডম্যান বা ফাইন লেগের বাইরে ফিল্ডিং করতে দেখা যাচ্ছে না। টেস্ট বা টি-টোয়েন্টিতে ফিল্ডারদের লুকোতে পারেন। এক দিনের ক্রিকেটে কিন্তু সেটা পারা যায় না।” |