|
|
|
|
মেদিনীপুর জেল নিয়ে আইবি-বার্তা |
রক্ষীর মদতে মাওবাদী বন্দিদের হাতে মোবাইল |
বরুণ দে • মেদিনীপুর |
সর্ষের মধ্যেই ভূত! মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের মাওবাদী বন্দিদের কাছে মোবাইল, গোপন চিঠি, টাকা থেকে শুরু করে মাদক--নানা ‘নিষিদ্ধ বস্তু’ সরবরাহে প্রধান মদতদাতা হিসাবে এক কারাকর্তার নিরাপত্তারক্ষীর দিকে আঙুল তুলল গোয়েন্দা দফতর। ১০ ফেব্রুয়ারি এডিজি (আইবি) বাণীব্রত বসু আইজি (কারা) রণবীর কুমারকে চিঠি লিখে (মেমো নং ১৫৪) এআইজি (কারা) কল্যাণ প্রামণিকের রক্ষী শান্তনু দেব সম্পর্কে ‘সতর্ক’ করেন। রক্ষীর মদতে মেদিনীপুর জেলে মাওবাদী বিচারাধীন বন্দিদের কাছে মোবাইল, টাকা, চিঠি ও মাদক পৌঁছচ্ছে বলে জানান গোয়েন্দাকর্তা।
অভিযুক্ত শান্তনুবাবুকে এআইজি-র দায়িত্ব থেকে সরানো হলেও মেদিনীপুর জেলেই রক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শান্তনুবাবু রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের ‘বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি’র সঙ্গে যুক্ত বলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে মেদিনীপুর জেলেই রক্ষীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বামপন্থী কারাকর্মী সংগঠনগুলির। এআইজি (কারা) কল্যাণ প্রামাণিকের বক্তব্য, “এটি গোপন বিষয়। যা বলার জেলের সুপার বলবেন।” কিন্তু মেদিনীপুর জেলের সুপার প্রহ্লাদ সিংহ কুমার ‘ব্যস্ত আছি’ বলে এড়িয়ে যান। |
|
এই সেই আইবি-বার্তা |
মেদিনীপুর জেলে প্রায় ১২০০ বন্দি রয়েছেন। সুদীপ চোংদার, কল্পনা মাইতি, ছত্রধর মাহাতো, প্রসূন চট্টোপাধ্যায়, রাজা সরখেলের মতো মাওবাদী সন্দেহে ধৃত বিচারাধীন বন্দিরা যেমন রয়েছেন, তেমনই রয়েছে সাজাপ্রাপ্ত কুখ্যাত কিছু কয়েদিও। গত ক’মাসে জেলে একাধিক বার মোবাইল উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। তার পরে কর্তৃপক্ষ নির্বিকার বলে অভিযোগ আরএসপি প্রভাবিত ‘পশ্চিমবঙ্গ কারারক্ষী সমিতি’র। সংগঠনের নেতা নবীন অধিকারীর বক্তব্য, “এআইজি-র নিরাপত্তারক্ষীর মদতেই যদি জেলের মধ্যে মোবাইল, টাকা, মাদক সরবরাহ হয়, তা হলে নিরাপত্তার কী হাল, বুঝে নিন।” সিপিএম প্রভাবিত ‘কারারক্ষী সমিতি পশ্চিমবঙ্গ’র নেতা অতুল সাহাও বলেন, “জেলের নিরাপত্তার প্রশ্নে আপস চলে না।”
অভিযুক্ত শান্তনুবাবু নিজে কিছু বলতে না চাইলেও ‘বঙ্গীয় কারারক্ষী সমিতি’র নেতা নিরুপম খাঁড়ার অভিযোগ, “চক্রান্ত করে ওই কর্মীকে অভিযোগে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” কারা চক্রান্ত করছেন, আইবি-র রিপোর্ট নিয়েই বা তাঁদের কী বক্তব্যতার জবাব দেননি নিরুপমবাবু। |
|
|
|
|
|