লোকালয়ে ঢুকে পড়া চিতাবাঘকে পিটিয়ে মারল উত্তেজিত জনতা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জ থানার জামালদহের ১৬৫ উছলপুখুরি এলাকায়। তার আগে চিতাবাঘটিও হামলা চালায়। চিতাবাঘের হামলায় জখম হন ৩ বনকর্মী-সহ ১০ জন গ্রামবাসী। তার মধ্যে চিতাবাঘের কামড়ে বন দফতরের এক বিট অফিসার গোপাল দে’র একটি আঙুল দু’টুকরো হয়ে যায়। তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বন দফতরের আধিকারিকদের অনুমান, জলঢাকা নদীর ওপারে মরাঘাটের থেকে চিতাবাঘটি এলাকায় ঢুকে পড়ে। ভয় পেয়ে পালানোর চেষ্টার ব্যস্ত চিতাবাঘটি জখম একের পর এক গ্রামবাসীর উপরে হামলা করছে তখন বন দফতরের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। |
পুলিশের ভুমিকায় ক্ষুব্ধ বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন বলেন, “জামালদহের গ্রামে চিতাবাঘ ঢুকে পড়ার খবর পাওয়ার পরেই বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে যান। জনতার ভিড়ে চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সমস্যার কথা পুলিশ কর্তাদের জানানো হয়। ঘুমপাড়ানি গুলিতে চিতাবাঘটিকে কাবু করার চেষ্টাও হয়। তার মধ্যেই উত্তেজিত জনতা সেটিকে পিটিয়ে, হত্যা করে। পুরো বিষয়টি তদন্ত করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পাশাপাশি, জখমদের নিয়ম মেনে সরকারি সাহায্যের আশ্বাসও দিয়েছেন বনমন্ত্রী। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে গ্রামে বাড়ির উঠোনে পূর্ণবয়স্ক ওই চিতাবাঘটিকে প্রথম দেখেন এক গৃহকর্তা। মুহুর্তের মধ্যে চিতাবাঘটি তাঁর ওপরে চড়াও হয়। গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চিতাবাঘটিও কখনও মাঠের ওপর দিয়ে, কখনও ঘরের আড়ালে ঘাপটি মেরে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করে। পুলিশের ভূমিকায় সরব হয়েছেন কোচবিহারের ডিএফও পিনাকী মিত্রও। তিনি অভিযোগ করেন, “পুলিশের সামনেই চিতাবাঘটিকে পিটিয়ে মারা হয়। চিতাবাঘটিকে রক্ষ করতে গিয়ে জনতার লাঠির আঘাতে জখম হন এডিএফও সুবোধ বারুই। কোচবিহারের পুলিশ সুপার প্রণব দাস বলেন, “খবর পেয়েই পুলিশ যায়। যথাসাধ্য চেষ্টাও হয়েছে।” |