|
|
|
|
মারধরের পাল্টা অভিযোগ |
তারকেশ্বরে দিশম নেতার বাড়িতে ভাঙচুর, নালিশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তারকেশ্বর |
ঝাড়খণ্ড দিশম পার্টির এক নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে তারকেশ্বরের রামনগর পঞ্চায়েতের একডালু গ্রামের বামুনপাড়ায়। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ মানেনি। তাদের স্থানীয় নেতাকে মারধর করা হয়েছে বলে দিশমের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগও এনেছে তৃণমূল। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কাউকে ধরতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকালে একশো দিনের প্রকল্পের কাজ নিয়ে তৃণমূলের স্থানীয় নেতা সুকান্ত পালের সঙ্গে দিশমের তারকেশ্বর ব্লক সভাপতি অসীম হাঁসদার বচসা হয়। দু’পক্ষের মধ্যে মারামারিও হয়। অভিযোগ, এর পরেই অসীমবাবুর বাড়িতে চড়াও হয় তৃণমূলের ছেলেরা। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। দিশম নেতৃত্বের অভিযোগ, অসীমবাবুর বাড়ির লোকজনকেও মারধর করা হয়। গ্রামের আরও তিন দিশম সমর্থকের বাড়িতেও হামলাকারীরা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে তারকেশ্বর থানার ওসি সুপ্রকাশ পট্টনায়েক বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। দিশমের আরও অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালেও তাদের সমর্থকদের হুমকি দেয় তৃণমূল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
দিশম পার্টির রাজ্য সহ-সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত হাঁসদা বলেন, “বিনা প্ররোচনায় তৃণমূলের ছেলেরা হামলা চালায়। অসীমবাবুর ভাই সুবোধ হাঁসদার যাবতীয় সংশাপত্র পুড়িয়ে দিয়েছে ওরা। মারধর করেছে। অথচ, পুলিশ কাউকে ধরেনি। পুলিশ দায়সারা ভাবে কাজ করছে।” তারকেশ্বরের পুরপ্রধান, তৃণমূল নেতা স্বপন সামন্তের দাবি, “আমাদের দলের নেতা সুকান্ত পালকে ওরা মারধর করেছে। বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ মিথ্য।” স্বপনবাবুর অভিযোগ, “অসীমবাবু এবং তাঁর সাগরেদরা সুবিধাবাদী। অসীমবাবু এক সময়ে আমাদের দলের টিকিটে পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। আর এখন আমাদের বিরুদ্ধেই এ সব বানানো অভিযোগ করছেন।”
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “পুলিশ দু’পক্ষেরই অভিযোগ পেয়েছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তদন্তকারী অফিসারেরা জানান, তাঁরা খোঁজখবর নিয়ে জেনেছেন, ১০০ দিন প্রকল্পের কাজ নিয়ে দু’দলের স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বিবাদ ছিল। তার জেরেই ওই ঘটনা ঘটেছে। |
|
|
|
|
|