আগামী মঙ্গলবার সাধারণ ধর্মঘট তাঁরা সমর্থন করছেন না বলে ঘোষণা করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। তাঁর সেই ঘোষণা লিখিতভাবে রাজ্যের সমস্ত জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ঘটনা হচ্ছে, প্রদীপবাবু কংগ্রেস প্রভাবিত যে আইএনটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি, সেই সংগঠন ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে। সংগঠনের সর্বভারতীয় সভাপতি সঞ্জীব রেড্ডি থেকে শুরু করে রাজ্যের কার্যকরী সভাপতি রমেন পাণ্ডে রীতিমত বাম শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বের সঙ্গে ধর্মঘট ‘সফল’ করার
জন্যে সক্রিয়।
সম্প্রতি পুদুচেরিতে সংগঠনের সভায় রেড্ডির উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে কেন তাঁদের ধর্মঘটে সামিল হওয়া উচিত নয় বলে প্রদীপবাবু সওয়াল করেছিলেন। আইএনটিইউসি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সভায় প্রদীপবাবুর বক্তব্য ছিল, বাম সংগঠনগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অভিযোগ’ তুলে ধর্মঘট করছে। আর শিল্প ধর্মঘটের নাম করে বাম সংগঠনগুলি সাধারণ ধর্মঘট করছে। এটা ঠিক নয়। রেড্ডির কাছে প্রদীপবাবুর আর্জি ছিল, রাজ্যের বর্তমান ‘জটিল’ রাজনৈতিক ও ‘সঙ্কটময়’ অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গকে ধর্মঘট থেকে রেহাই দিন। রেড্ডি তাঁর আর্জিতে কর্ণপাত করেননি। আর রমেনবাবুও তাঁর সংগঠনের রাজ্য সভাপতির ‘তোয়াক্কা’ না করেই ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। রমেনবাবুর বিরুদ্ধে সভাপতি হয়েও তিনি যে কোনও ‘ব্যবস্থা’ নিতে পারবেন না তা কার্যত স্বীকারও করেছেন প্রদীপবাবু। তাঁর বক্তব্য, “আমি কী করব! রমেন তো ১০টা ট্রেড ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত। তিনি ধর্মঘটে সামিল হলে আমার কিছু করার নেই। রমেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া আমার এক্তিয়ারে পড়ে না।”
প্রদীপবাবু বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, কেন তাঁরা ধর্মঘটে সামিল হবেন না তা আজ শুক্রবার দলের পরিবহন কর্মীদের সংগঠনের সম্মেলনে ব্যাখ্যা করে বলবেন।
পাশাপাশি রাজ্যের পরিবহণ কর্মীদের একাংশের চার মাস ধরে বেতন না-পাওয়া, অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া পেনশনের দাবিতে তিনি সরব হবেন। তাঁর কথায়, “পরিবহন কর্মীদের এই সংকট মোচনে রাজ্য সরকারের বড় ভূমিকা আছে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “পরিবহন কর্মীরা ভবিষ্যতে ধর্মঘট করলে তাহলে রাজ্যের সঙ্কট আরও বাড়বে।” |