সত্যি, নাকি সবটাই প্রচার? আসল দোষীই বা কে?
রেস্তোরাঁর সিসিটিভি ফুটেজ থেকেই সত্যিটা জানা সম্ভব ছিল। সে আশায় জল ঢেলে দিল তাজ কর্তৃপক্ষ। স্যাফ আলি খান আর দক্ষিণ আফ্রিকা প্রবাসী ইকবাল শর্মার বচসা নিয়ে কোনও ফুটেজ দিতে পারল না তারা।
মার্চেই মুক্তি পাচ্ছে স্যাফ-করিনার ছবি ‘এজেন্ট বিনোদ’। তার ঠিক আগেই এমন একটা ঘটনা। প্রবাসী ভারতীয় ইকবাল শর্মার সঙ্গে স্যাফের ‘হাতাহাতি’কে নিজেদের ছবির প্রচারেরই অংশ বলে প্রশ্ন তুলেছে নানা মহল। তবে সে কথা মানতে নারাজ পটৌডির নবাব। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে স্যাফ বলেন, “কালকের ঘটনা মোটেই ছবির প্রচার নয়। আশা করি শীঘ্রই এর সমাধান হবে।” তবে জোরে কথা বলা নিয়ে ইকবালের সঙ্গে যে একটা বাদানুবাদ হয়েছিল, সে কথা অস্বীকার করেননি স্যাফ। সংবাদমাধ্যমের কাছেও তিনি বলেছেন, “ওটা তো আর লাইব্রেরি না যে আস্তে কথা বলতে হবে!” তবে তাঁর আজকের কথাবার্তায় কোনও ঔদ্ধত্য ছিল না। গত ২৪ ঘণ্টায় অনেকটাই নরম হয়েছেন নবাব। বলেছেন, “কালকের ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত। আরও সংযত হওয়া উচিত ছিল আমার।” |
তার মানে কি ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন স্যাফ? তা কিন্তু নয়। গত কাল লিখিত বিবৃতিতে যা বলেছিলেন, আজ তারই পুনরাবৃত্তি করে বলেন, “ইকবাল ও তাঁর শ্বশুরই প্রথম আমাদের গায়ে হাত তোলেন। যা করেছি, শুধুই নিজেকে বাঁচাতে।” স্যাফের আরও অভিযোগ, “আমার চোখ ফুলে গিয়েছে। আমার দুই বন্ধু বিলাল আর শাকিলের গায়েও কালশিটে পড়ে গিয়েছে।” গত কাল অবশ্য এই যুক্তিতে লাভ হয়নি তাঁদের। ১৫ হাজার টাকা দিয়েই জামিনে ছাড়া পান তাঁরা তিন জন। |