জামিন পেয়ে পালানোর ব্যাপারে তার কুখ্যাতি আছে। সেই জন্যই নিম্ন আদালতে তার জামিন মঞ্জুর হয়নি। বিমানযাত্রী সেজে বিমানবন্দর থেকে ব্যাগ চুরির মামলায় অভিযুক্ত উষাকান্ত জনার্দন সোনেবানের জামিনের আবেদন নাকচ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টও। সে এখন ব্যারাকপুরের জেলে আছে। মুম্বইয়ের জুহুতে তার বাড়ি। ৭ ফেব্রুয়ারি মুম্বই থেকে বিমানে কলকাতায় আসে সোনেবানে। কলকাতায় নেমেই অন্য এক যাত্রীর ল্যাপটপ নিয়ে পালানোর সময় ধরা পড়ে। তার ২ শাগরেদ পালায়।
জামিনের বিরোধিতা করে পুলিশের তরফে নিম্ন আদালতে বলা হয়েছিল, জামিন দিলে সোনেবানে মুম্বই চলে যাবে। তখন তার টিকিটিও আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। পুলিশের এই যুক্তি শুনে এত দিন তাকে জামিন দেয়নি ব্যারাকপুর আদালত। এর মধ্যে বিমানবন্দর থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে চার্জশিটও পেশ করেছে। তার পরেও জামিন পায়নি ৫২ বছরের সোনেবানে। পুলিশ চায়, তাকে জেলে আটকে রেখেই দ্রুত বিচার শেষ করা হোক। এর আগে, ২০১০-এর ৮ জুলাই কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়েছিল উষাকান্ত ও তার দুই শাগরেদ। তবে সে-বার চুরির জন্য নয়, ৩ জন সন্দেহজনক ভাবে কয়েকটি বিমান টিকিট নিয়ে বসে ছিল বিমানবন্দরের ভিতরে। সে-যাত্রা মাত্র দিন দুয়েক হাজতবাসের পরে জামিন পেয়ে বেপাত্তা হয়ে যায় তারা।
এই পরিপ্রেক্ষিতে নিম্ন আদালতে জামিন না-হওয়ায় বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে বিচারপতি সৌমিত্র পালের এজলাসে জামিনের জন্য আবেদন করেন সোনেবানের আইনজীবীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে আইনজীবী বিনয় পণ্ডা বলেন, “এক বার জামিন দিলে অভিযুক্তকে আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে যায়। |