বর্ধমানে দুই সিপিএম নেতার খুনের প্রতিবাদে দিল্লির বঙ্গভবনে বিক্ষোভ দেখাল সিপিএম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে উপস্থিত থাকাকালীনই আজ দুপুরেএই ঘটনা ঘটে। বঙ্গভবনের ভিতরে ‘মমতা ব্যানার্জি শরম করো’ বলে স্লোগান তোলেন সিপিএমের ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে বঙ্গভবন চত্বরে তাঁরা সভাও করেন।
বুধবার প্রদীপ তা ও কমল গায়েনের খুনের ঘটনার পরেই রাজ্য সিপিএমের পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বিবৃতি দিয়েছিল পলিটব্যুরো। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের যুক্তি ছিল, ব্রিগেডের বিশাল সমাবেশ দেখে ‘হতাশ’ তৃণমূল হিংসা চালাচ্ছে। শুধু বিবৃতি দেওয়াই নয়, আজ বিক্ষোভ প্রদর্শন করে রাজ্য নেতৃত্বের পাশেও দাঁড়িয়েছে এ কে গোপালন ভবন। দিল্লিতে সাংগাঠনিক শক্তি অনুযায়ী বড় আকারের সমাবেশ হয়নি। তার পরেও মমতা দিল্লিতে থাকাকালীনই বঙ্গভবনে এ দিনের বিক্ষোভকে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন সিপিএম নেতারা। তা ছাড়া সরকারি অতিথিশালায় এ ভাবে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন এই প্রথম। বাম জমানাতেও এই ধরনের নজির বিশেষ নেই।
এ দিন সিপিএম কর্মীরা আলাদা আলাদা ভাবে জড়ো হয়ে আচমকা বঙ্গভবন চত্বরে ঢুকে পড়েন। ফলে নিরাপত্তাকর্মীরা বাধা দেওয়ার সুযোগ পাননি। সিপিএম নেতা প্রসেনজিৎ বসুর কথায়, “বর্ধমানের বিষয়টি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। পরিকল্পিত ভাবে হামলা হচ্ছে। সিপিএম একটা সর্বভারতীয় দল। আমরা কোনও ভাবেই এই ধরনের খুনের রাজনীতি বরদাস্ত করব না।” মুখ্যমন্ত্রী শহরে থাকাকালীনই সরকারি অতিথিশালায় তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠায় রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা ছুটে আসেন বঙ্গভবনে। তড়িঘড়ি পুলিশও ডাকা হয়। বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ সমাবেশ চালানোর পরে সিপিএম কর্মীরা নিজেরাই বেরিয়ে যান। |