দু’টি গ্রামীণ পথ সংস্কার জরুরি |
হোসেনপুর থেকে আঁইয়া পাঁচমাথাগামী পথ ছুঁয়ে কল্যাণবাটির ভিতর দিয়ে একটি মোরাম রাস্তা ধীতপুরগামী পূর্ত দফতরের পিচরাস্তায় মিশেছে। অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই গ্রামীণ পথটি। কিছুটা আঁইয়া পঞ্চায়েত এবং কিছুটা ফুরফুরা পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়া এই রাস্তা বর্তমানে ভগ্নদশা। বেশ কিছু এলাকায় মোরাম পথের অনেকটা ভেঙে গিয়েছে। গর্তের সংখ্যা অসংখ্য। সাইকেল নিয়ে যেতেও অসুবিধা হয়। রাস্তাটি সংস্কার জরুরি। এ ছাড়া, দক্ষিণডিহি থেকে একটি মেঠো পথ গিয়েছে বারুইপাড়া জাঙ্গিপাড়া পাকা সড়কের দিকে। হুগলি জেলার জাঙ্গিপাড়া থানার অন্তর্গত ফুরফুরা পঞ্চায়েতের কাজিপাড়ার কাছাকাছি এই গ্রামীণ পথটি পূর্ত দফতরের সড়কের সঙ্গে মিশেছে। ফুরফুরা দক্ষিণডিহি দুই গ্রামের দূরত্ব কমায় এই পথ। মোরাম ফেলে এক সময়ে কিছুটা চলনসই করা হয়েছিল। কিন্তু ফের ভেঙেচুরে একশেষ। দক্ষিণডিহির প্রাচীন হাইস্কুলের সঙ্গে কাছাকাছি এলাকার যোগাযোগের এই পথটি হুগলি জেলা পরিষদের মাধ্যমে পাকা করার কথা চলছিল। এক কিলোমিটারের কিছু বেশি দৈর্ঘ্যের এই রাস্তা অবিলম্বে পাকা করা হোক।
এএফ কামরুদ্দীন আহমদ। বাঁদপুর, হুগলি। |
আমতায় লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লক্ষ। হাজার হাজার বিঘে চাষযোগ্য জমি আছে। বেশির ভাগ জমিই উর্বর। জমির উপরেই নির্ভরশীল এখানকার বেশির ভাগ মানুষ। প্রচুর পরিমাণে আসু চাষ হয় এই এলাকায়। তা ছাড়া টমেটো, তরমুজ, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপির চাষও হয় প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু প্রতি বছর প্রচুর ফসল নষ্ট হয় সংরক্ষণের অভাবে। অনেক কৃষকের আলু খেতেই পড়ে পচে। আমতায় একটি বহুমুখী হিমঘর খুবই জরুরি। হিমঘরের জন্য এখানকার মানুষকে এখন ছুটতে হয় আলমপুর বা হুগলি জেলায়।
দীপঙ্কর মান্না। চাকপোতা, আমতা।
|
মাটি পরীক্ষার কেন্দ্র বাড়ুক |
হুগলির পোলবা-দাদপুর ব্লক প্রায় হাজার খানেক গ্রাম নিয়ে গঠিত। এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষি। বেশির ভাগই তিন ফসলি জমি। কৃষিকাজের ক্ষেত্রে জমির গুণগত মান নির্ণয় ও রাসায়নিক সার ব্যবহার পরিমাণ জানা খুবই জরুরি। কিন্তু বিডিও অফিস ছাড়া কোথাও মাটি পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। প্রতিটি পঞ্চায়েত অফিসে এই ব্যবস্থা চালু করা খুবই জরুরি। এ ছাড়া, পোলবা-দাদপুর ব্লকে ডিভিসির ৬টি ক্যানাল ও সরস্বতী, কুন্তী, ঘিয়া, কেদারমতি নদী ও হুগলি সোয়া খাল প্রবাহিত। এই সব নদী-খালের লকগেটগুলির সংস্কার জরুরি।
মহসীন দরগাই। রামনাথপুর, পোলবা-দাদপুর। |
প্রধানমন্ত্রী গ্রামসড়ক যোজনা প্রকল্পে হরিপাল ব্লকে ২০০৫ সালের এপ্রিল মাসে হরিপাল উড়ে বাজির মোড় থেকে জেঁজুরের ময়নাপোতা পর্যন্ত ৭.১৮ মোরাম রাস্তা পাকা পিচ রাস্তায় পরিণত হওয়ায় এলাকার বাসিন্দাদের যাতায়াতে খুবই সুবিধা হয়েছে। কিন্তু এখন এই রাস্তার হাল খুবই খারাপ। দীর্ঘ ছ’বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কার হয়নি। বহু জায়গা ভাঙাচোরা। বর্তমানে এই রাস্তায় যানবাহন অনেকটাই বেড়েছে। প্রায়ই ছোটখাট দুর্ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার দরকার।
জহরলাল দাস। আমিনপুর, হরিপাল। |
বিকল্প যানের ব্যবস্থা দরকার |
হাওড়া জেলার আমতা ১ ব্লকের মধ্যে আমতা নিত্যানন্দ উচ্চ বিদ্যালয়, আমতা বালিকা বিদ্যালয় এবং আমতা পীতাম্বর উচ্চ বিদ্যালয়ের বহু ছাত্রছাত্রী আমতা-মুন্সিরহাট রুটের ট্রেকারে প্রাণ হাতে করে ঝুলে ঝুলে যাতায়াত করে। তার উপরে রাস্তায় যত্রতত্র ইট-বালি-পাথর পড়ে থাকে। ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিকল্প যান চলাচল জরুরি এই রাস্তায়।
অমল চট্টোপাধ্যায়। ঘোষপুর, আমতা। |
দক্ষিণ-পূর্ব রেলের হাওড়া-আমতা লাইনের মুন্সিরহাট হল্ট স্টেশনে টিকিট কাউন্টারের পাশে প্রায় আট মাস আগে নতুন শৌচালয় তৈরি হয়েছে। কিন্তু সেটি তালা দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকে। বন্ধ শৌচালয়ের পাশেই মলমূত্র ত্যাগ করেন যাত্রীরা। যাত্রীদের জন্য এই শৌচালয় খুবই দরকার।
গোপীকান্ত মেথুর। কৃষ্ণনন্দপুর, মুন্সিরহাট। |
উদয়নারায়ণপুর ব্লকের অন্তর্গত নিতাই মণ্ডল সরণীর অধীন কুমারচক (চাচা রোড) একটি গুরুত্বপূর্ণ বাসস্ট্যান্ড। প্রতি দিন এখান দিয়ে অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। বাস, ট্রেকার, অটো, ভ্যান ছাড়ে এখান থেকে। যাত্রীদের বসার বা দাঁড়ানোর জন্য কোনও শেড নেই। নিমাই আদক।
সোনাতলা, উদয়নারায়ণপুর। |