বর্ধমানের পরে কল্যাণী এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদও হারাল এসএফআই। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই দু’টি বিশ্ববিদ্যালয় এসএফআইয়ের নিয়ন্ত্রণে ছিল। এ বার কল্যাণীতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পরিষদ জিতল।
বুধবার ছিল কল্যাণীতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ১৩১টি আসনের মধ্যে ১১৮টিতে প্রার্থী দেয় টিএমসিপি। কলেজ সূত্রের খবর, এসএফআই এবং ছাত্র পরিষদ কোনও আসনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে টিএমসিপি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছে। টিএমসিপির নদিয়া জেলার সভাপতি জয়ন্ত পাল বলেন, “১৯৭৮-এর পর এই প্রথম বাম-বিরোধী ছাত্র সংগঠন কল্যাণীর ছাত্র সংসদ জিতল। হারবে বুঝে প্রার্থী দেয়নি এসএফআই।” তবে এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক কৌশিক দত্ত বলেন, “প্রার্থী ঠিক করেছিলাম। কিন্তু ওরা তাদের ভয় দেখানোয় ভোট থেকে সরে আসি।”
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের ৭৯টি আসনে ভোটের জন্য মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা দেন প্রার্থীরা। এ দিন ছিল মনোনয়ন পত্র পরীক্ষা করে দেখার (স্ক্রুটিনি) দিন। দেখা যায়, ৬৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ছাত্র পরিষদ ছাত্র সংসদ দখল করছে। কংগ্রেস বিধায়ক শঙ্কর মালাকার বলেন, “ছাত্রদের সমস্যা নিয়ে এত দিন ধরে লড়াইয়ের ফল মিলল।” তবে টিএমসিপির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্ণয় রায় এ দিনই শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে দেখা করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ জানান। তাঁর বক্তব্য, “কী ভাবে অধিকাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছাত্র পরিষদ জিতল বুঝছি না! আমরা তো ৬২টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম!” দলের ছাত্র সংগঠনের হারের ব্যাপারে তিনিও খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। এসএফআইও দাবি করছে, ৪২ আসনে মনোনয়ন দিয়েছিল তারা। তবে তাদের দাবি, মনোনয়ন পরীক্ষার সময় প্রার্থীদের আসতে দেয়নি ছাত্র পরিষদ।
|
চুক্তি নিয়োগে সায় দমকলের একটি সমিতির
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
তৃণমূল সরকারের চুক্তির ভিত্তিতে কর্মী নিয়োগ নীতির বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছে তৃণমূলেরই ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের অনুগামী দমকলকর্মী সংগঠন। তবে দমকলকর্মীদেরই একাংশ সরকারি নিয়োগ নীতি সমর্থন করছে। স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (ইউনিফায়েড)-এর অনুগামী জাতীয়তাবাদী দমকল কর্মচারী সমিতি চুক্তির ভিত্তিতে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বুধবার দমকলের সদর দফতরে বৈঠকও করেছে। ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রনি ওয়াল্টার বলেন, “বাস্তব পরিস্থিতি অনুযায়ী চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত অস্থায়ী কর্মীদের সাহায্যেই দমকলের সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।” তিনি জানান, সরকারি নিয়ম মেনে স্থায়ী কর্মী দিয়ে শূন্য পদ পূরণ করতে দু’বছর লেগে যাবে। তার বদলে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের স্বেচ্ছাসেবীদের কাজে লাগালে বেশ কিছু তরুণ কর্মীকে পাওয়া যাবে। দমকলের কাজে ওই তরুণদের খুবই দরকার বলে মন্তব্য করেন তিনি। তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি বাম শিবিরের প্রস্তাবিত ধর্মঘটের বিরোধিতায় দমকলকর্মীদের তৃণমূলপন্থী সংগঠনগুলি একজোট। বুধবার জাতীয়তাবাদী দমকল কর্মচারী সমিতি দমকলের সদর দফতরে বন্ধের বিরোধিতায় নামে। দমকলের আরও চারটি ইউনিয়নের সমন্বয় সমিতিও শুক্রবার বন্ধের বিরোধিতায় নামবে বলে জানিয়েছে। |