ধর্মঘটের দিনে ‘ছুটি’
সরকারি নির্দেশ নিয়ে সোচ্চার বাম-সংগঠন
গামী ২৮ ফেব্রুয়ারি বামপন্থী ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট নিয়ে শাসক তৃণমূল ও বিরোধীদের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। এই চাপানউতোরে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রাজ্য সরকারের তরফে মঙ্গলবার জারি করা একটি নির্দেশিকা। যে নির্দেশিকায় ধর্মঘটের দিন কোনও সরকারি কর্মীর ছুটি মঞ্জুর হবে না বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। ওই নির্দেশিকাকে ‘হাতিয়ার’ করে রাজ্য সরকার-বিরোধী প্রচারে গতি আনার চেষ্টা চালাচ্ছে বামেরা।
ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার।
সরকারের ওই নির্দেশ ধর্মঘটের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ারই চেষ্টা বলে ‘তোপ’ দেগেছে শিক্ষক সংগঠন এবিটিএ। সংগঠনের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নেতা অপরেশ ভট্টাচার্য বলেন, “ধর্মঘট করেই আমরা ধর্মঘট করার অধিকার ছিনিয়ে নেব।” তাঁর কথায়, “একনায়কতন্ত্র চলছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনের উপরে আঘাত আনার চেষ্টা চলছে। এই হস্তক্ষেপ সাধারণ মানুষ মেনে নেবেন না।” একই ভাবে সোচ্চার হয়েছে বামপন্থী বিভিন্ন সংগঠন। মোট দশ দফা দাবিতে দেশের এগারোটি ট্রেড ইউনিয়ন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার শুরু হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকাতেও প্রচার চলছে। পথসভা করে সরকারি কর্মীদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আবেদন জানানো হচ্ছে। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাজ্য সরকারের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। যেখানে বলা হয়, ওই দিন সরকারি কর্মীরা কাজে না-এলে কোনও ছুটি মঞ্জুর করা হবে না। আর ওই নির্দেশিকা ঘিরেই নতুন বিতর্ক এবং আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। একাংশ সরকারি কর্মীর বক্তব্য, স্বাভাবিক ভাবে যদি যানবাহন চলাচল না করে তা হলে কাজে যোগ দেওয়া যাবে না। কেউ অন্য কোনও কাজেও ওই দিন ব্যস্ত থাকতে পারেন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের কী হবে। কোনও কর্মী ছুটি নিতেই পারেন।
ধর্মঘটের বিরোধিতায় পাল্টা প্রচার।
এ ক্ষেত্রে রাজ্য সরকার হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেলা সম্পাদক গঙ্গাধর বর্মন বলেন, “এই ধরনের নির্দেশিকা জারি করার কোনও যুক্তি নেই।” তাঁর দাবি, “ওই নির্দেশকে উপেক্ষা করেই ধর্মঘটে সামিল হবেন সরকারি কর্মীরা। ২৮ তারিখের ধর্মঘট সফল হবেই।” বুধবার মেদিনীপুর শহরে সিপিএমের ছাত্র-যুব-শ্রমিক সংগঠনের এক মিছিল হয়। সেই মিছিল থেকে ধর্মঘটের সমর্থনে প্রচার করা হয়। বর্ধমানে দুই দলীয় নেতার হত্যাকাণ্ডেরও নিন্দা করা হয়। অন্য দিকে, ২৮ তারিখের ধর্মঘটের বিরোধিতায় পথে নেমেছে তৃণমূলও। তৃণমূল প্রভাবিত বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মেদিনীপুর শহর-সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় মিছিল বেরোয়।

ছবি: সৌমেশ্বর মণ্ডল।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.