টুকরো খবর
নয়া প্রজাতির উভচর মিলল উত্তর-পূর্বে
চিকিলিডাই-এর ডিম। ছবি: এ পি
এক বিশেষ প্রজাতির পা বিহীন উভচরের সন্ধান মিলল এ বার উত্তর-পূর্ব ভারতে। মাটির নীচে থাকা লেজ-হীন এই উভচর প্রাণীটির খবর সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে লন্ডনের রয়্যাল সোসাইটির ‘প্রসিডিংস বি’ গবেষণাপত্রে। এর আগে ন’টি প্রজাতির পা-হীন উভচর বা কাসিলিয়ানদের অস্তিত্বের কথা জানা ছিল যাদের বাসস্থান মূলত ক্রান্তীয় অঞ্চলের ভিজে পরিবেশ। ডিএনএ পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই নতুন প্রজাতি অন্যদের থেকে আলাদা। বহু যুগ আগে এদের পূর্ব পুরুষরা থাকত পূর্ব ও পশ্চিম আফ্রিকার বিভিন্ন অংশে। ভারতীয় গারো উপজাতির ভাষা অনুসারে গবেষকরা এদের নাম দিয়েছেন চিকিলিডাই। ভারত ও ইউরোপের একদল গবেষক এদের নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিলেন গত পাঁচ বছর ধরে। নাগাল্যান্ড, অসমের মতো উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য এই কারণে আড়াইশোটিরও বেশি গর্ত খুঁড়ে অনুসন্ধান চালান তাঁরা। গবেষক দলের সদস্য অধ্যাপক এস ডি বিজু জানান, বিশেষ প্রজনন বৈশিষ্ট্যের কারণে এরা অন্য উভচরদের থেকে একেবারে আলাদা। ডিম পাড়ার সময় হলে এরা মাটির নীচে বাসা বানিয়ে থাকে, ও ডিম পাড়ার পর তাদের গোল করে ঘিরে থাকে। তিনি আরও বলেন, জনসংখ্যা বাড়তে থাকায় বসবাসের জন্য জঙ্গল সাফ করে দিচ্ছে মানুষ। ফলে ওই উভচরদের বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ হারিয়ে যাচ্ছে, যা নিয়ে আরও সচেতনতা প্রয়োজন আছে, জানান তিনি।

কাঠ উদ্ধার ঘিরে গুলি
উদ্ধার হওয়া গুলির খোল। উমাশঙ্কর রায়চৌধুরীর তোলা ছবি
বেআইনি কাঠ উদ্ধার করতে গিয়ে বাধা পেয়ে বনরক্ষীরা গুলি ছুড়তে বাধ্য হল। এ নিয়ে আজ সকালে সীমান্তবর্তী এলাকা পশ্চিম ত্রিপুরার পশ্চিমনোয়াবাদীর আমতলিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। আতঙ্কও ছড়ায়। পুলিশ ও স্থানীয় এলাকাবাসীদের সূত্রে জানা যায়, পশ্চিমনোয়াবাদীর এক স্থানীয় বাসিন্দা একটি বাড়ির গাছ কেটে বিক্রি করতে গেলে সংলগ্ন এলাকার বন দফতরের কর্মীরা এসে বাধা দেন। বনরক্ষীদের দাবি, বিনা অনুমতিতে গাছগুলি কাটা হয়েছিল। পরে বনদফতরের কর্মীরা কাটা গাছগুলিকে বাজেয়াপ্ত করতে উদ্যোগী হলে এলাকাবাসীর একাংশ বাধা দেন বলে অভিযোগ। বনরক্ষীরা এলাকাবাসীর সঙ্গে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। উত্তেজনা প্রশমিত করতে বনরক্ষীরা শূন্যে গুলি ছোড়েন। এক প্রত্যক্ষদর্শীর অভিযোগ, সামনেই কচিকাঁচাদের একটি স্কুল চলছিল। গুলির শব্দে তারাও আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কারও হতাহত হওয়ার খবর না মিললেও পশ্চিম থানার ওসি পার্থসারথি পাল জানান, আমতলিতে আজকের ঘটনায় ব্যবহৃত সাতটি গুলির খোল ও অব্যবহৃত একটি গুলিও উদ্ধার করা হয়েছে। পশ্চিমনোয়াবাদী সংলগ্ন বোধজংনগরের থানার পুলিশকর্মী কিরণ শংকর চৌধুরী বলেন, এলাকায় উত্তেজনা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করা হয়নি।

পুকুরের জলের নমুনা সংগ্রহ
অবশেষে রামপুরহাটের চালধোয়ানি পুকুরের জলের নমুনা সংগ্রহ করলেন দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের প্রতিনিধিরা। বুধবার তাঁদের সঙ্গে ছিলেন পুরসভার প্রতিনিধিরা। পুরপ্রধান নির্মল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দুর্গাপুর থেকে এসেছেন। তাঁদের কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পরে পুকুরের জল ফেলে দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” চালধোয়ানি পুকুরের জল দূষিত হয়ে পড়ছে। অবিলম্বে ওই জল ফেলে দিয়ে মাটি তুলে পুকুরপাড় বাঁধানোর দাবি জানিয়ে আসছেন ১১, ১৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। সম্প্রতি এলাকার একটি ব্যস্ত রাস্তায় দু’দিন ধরে বাঁশ ফেলে অবরোধ করেছিলেন। পরে পুরপ্রধানের কাছে জলের তুলে নিয়ে গিয়ে আন্দোলন করেছিলেন বাসিন্দারা। জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপিও দিয়েছেন। জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা মঙ্গলবার পুরপ্রধানকে নির্দেশ দেন, পুরসভার অন্তর্গত পুকুর হওয়ায় সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভাকে নিতে হবে। পুরপ্রধান বলেন, “দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।”

চিতাবাঘের হানায় জখম ৪ গোলাঘাটে
চিতাবাঘের হানায় জখম হলেন চার চা-শ্রমিক। আজ সকালে গোলাঘাট জেলায়। পুলিশ সূত্রে খবর, নুমালিগড়র রাধাবাড়ি চা-বাগানে হানা দেয় চিতাবাঘটি। তার আঁচড় ও কামড়ে চারজন শ্রমিক জখম হন। পরে ফের জঙ্গলে মিলিয়ে যায় চিতাবাঘটি।

উদ্ধার চোরাই কাঠ
দিনভর অভিযান চালিয়ে গাঙ্গুটিয়া চাবাগান থেকে চোরাই শাল সেগুনের লগ উদ্ধার করল বন দফতর। বুধবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপক্ষেত্র অধিকর্তা জেভি ভাস্কর জানান, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ছয় রেঞ্জের কর্মীরা কালচিনির গাঙ্গুটিয়া চা বাগানে অভিযান চালায়। প্রায় তিন লক্ষ টাকার কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে। এদিনের অভিযানে কেউ গ্রেফতার হয়নি।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.