বোলপুরে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী। |
জন্মগত কাটা তালু ও ঠোঁটের রোগীদের মুখে হাসি ফোটাতে শান্তিনিকেতনে এলো ‘অপারেশন স্মাইল’। ভারতে ওই সংস্থার সভাপতি রঞ্জিত কর ঠাকুর একটি সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “এ বার শান্তিনিকেতনে ৫০ জন শিশুর ওই অস্ত্রোপচার করা হবে। ইতিমধ্যে ১১২ জন নাম লিখিয়েছেন।” বিশ্বভারতীর পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালে ওই শিবির শুরু হয়েছে। লোকসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব কম সময়ের মধ্যে ভারতীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং স্বেচ্ছাসেবীরা এরকম একটি জটিল বিষয় রপ্ত করতে পেরেছেন। বিদেশী বিশেষজ্ঞ ছাড়াই সফল ভাবে অস্ত্রোপচার হচ্ছে। শিশুদের মুখে হাসি ফুটছে।” শিশুদের এই বিশেষ প্রতিবন্ধকতা সম্বন্ধে গ্রামের দিকে যে কুসংস্কার চালু আছে তার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তুলতে সোমনাথবাবু সবাইকে আরও উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেন।
|
এক রোগিণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে সোনারপুর থানার ঘাসিয়ারা এলাকার একটি নার্সিংহোমে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। চিকিৎসকদের গাফিলতিতেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়ে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালান ওই রোগীর বাড়ির লোক। পুলিশি সূত্রের খবর, শনিবার রাতে সুচিত্রা কয়াল (৩৮) নামে সোনারপুর থানার জগদীশপুর এলাকার এক গৃহবধূ পেটে সংক্রমণ নিয়ে ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন। রবিবার সকালে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর পেটে। বিকেলে সুচিত্রাদেবীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কামালগাজির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে মারা যান সুচিত্রা। মৃতার পরিজনদের অভিযোগ, ঘাসিয়ারার নার্সিংহোমের চিকিৎসকদের গাফিলতিতে রোগিণীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে নার্সিংহোমে ভাঙচুর চালানো হয়।
|
হাসপাতাল চত্বরেই ম্যারাপ বেঁধে শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হচ্ছিল। তার জেরেই কারণ দর্শাতে বলা হল বিধাননগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের সুপারকে। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, “সরকারি হাসপাতাল চত্বরে কর্মীদের কোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠান হওয়া এক ব্যাপার। কিন্তু বাইরে ম্যারাপ বেঁধে রান্না করা গর্হিত অপরাধ। তাই কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কী করে এর অনুমতি দিলেন? সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্যের উত্তর, “রামস্বরূপ দাস নামে এক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী কিছু দিন আগে মারা যান। তাঁরই শ্রাদ্ধের আয়োজন হয়েছিল। আমাদের অনুমতি নেওয়া হয়নি।” কিন্তু হাসপাতাল চত্বরে যে ম্যারাপ বাঁধা হচ্ছে, তা কি কর্তৃপক্ষের নজরে পড়েনি? সোমনাথবাবু বলেন, “তা পড়েছে। কিন্তু সেখানে যে এমন অনুষ্ঠান করে শ্রাদ্ধ হবে, বুঝতে পারিনি।” সোমনাথবাবু আরও বলেন, কারণ দর্শানোর কথা মৌখিক ভাবে স্বাস্থ্য দফতর থেকে জানানো হয়েছে। এখনও চিঠি পাননি। চিঠি পেলে উত্তর দেবেন। প্রসঙ্গত, গত মাসের শেষের দিকে বি সি রায় শিশু হাসপাতাল ও কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরেও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের পরিবারের তরফে দু’টি বিয়ের অনুষ্ঠান হয়েছিল বলে অভিযোগ। যদিও মন্ত্রী জানান, এ বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ আসেনি। |