|
|
|
|
গুলি-কাণ্ডের ‘কিনারা’, দুষ্কৃতীরা অধরাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মেদিনীপুর শহরের কেরানিতলায় গত বুধবারের গুলি-কাণ্ডের কিনারা হয়েছে বলে দাবি করল পুলিশ। তবে, যে গুলি চালিয়েছিল, সেই রাধেশ্যাম সিংহ বা তার সঙ্গী রূপেশ ঘোষ এখনও অধরাই। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, যে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল তার নাম প্রদীপ দাস নয়, স্টিফেন দাস। পুলিশের কাছে নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন করেছিল স্টিফেন। টাটানগরের ওই বাসিন্দার সঙ্গেও দুষ্টচক্রের যোগ রয়েছে। রাধেশ্যামরাও চক্রে জড়িত। চুরির টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিবাদের জেরেই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। চুরির একটি ঘটনায় জড়িত অভিযোগ সোমবারই স্টিফেনকে গ্রেফতার করেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশ। তাকে মেদিনীপুর থেকে ঘাটশিলায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বুধবার ঘটনার পরেই অবশ্য পুলিশ দাবি করেছিল, দুষ্টচক্রের মধ্যেকার গোলমালেই শহরের বুকে সকালের ব্যস্ততম সময়ে ওই ঘটনা ঘটেছে। তদন্তের প্রয়োজনে মেদিনীপুরের পুলিশ ঝাড়খণ্ডে যায়। পরিষ্কার হয়ে যায়, গুলিবিদ্ধ ব্যক্তি এবং যারা গুলি চালিয়েছিলতারা সবাই দুষ্টচক্রে যুক্ত। গত মঙ্গলবার ঘাটশিলায় লক্ষাধিক টাকা চুরির ঘটনা ঘটে। স্টিফেন, রাধেশ্যাম ও রূপেশ--এই তিন জনই ওই ঘটনায় জড়িত।
ওই টাকা নিয়ে রাতেই তারা ট্রেনে চেপে খড়্গপুরে এসেছিল। বুধবার সকালে সেখান থেকে বাসে করে যায় মেদিনীপুর। কেরানিতলার এক জায়গায় বসে টাকার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে আলোচনা চলছিল। বচসা বাধে। রাধেশ্যামের সঙ্গে স্টিফেনের কথা কাটাকাটি হয়। হঠাৎই পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি ছোড়ে রাধেশ্যাম। সে এখনও পুলিশের নাগালের বাইরে। কিন্তু, দুষ্কৃতীরা কেন এবং কোন ‘আশ্বাসে’ চোরাই টাকার বখরা নিয়ে আলোচনার জন্য মেদিনীপুর শহরকেই বেছে নিল, সে প্রশ্নের মীমাংসা কিন্তু হয়নি। প্রশ্নটির সঙ্গে জুড়ে শহরবাসীর নিরাপত্তার প্রশ্ন। |
|
|
|
|
|