রবিবার রাতে আরামবাগের ভবানীপুর গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের জেরে দু’পক্ষের দু’টি বাড়িতে ভাঙচুর চলে। জখম হয়েছেন ১২ জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়। দু’পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনকে। অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গোলমাল বাধে। আরামবাগের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “যারা গ্রামে অশান্তি সৃষ্টি করছে, তারা দলের যে স্তরেই থাকুক না কেন, দল তাদের পাশে থাকবে না। পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।” রবিবারের ঘটনায় যাঁদের বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, সেই শিবরাম চক্রবর্তী এবং হারু মালিক দু’জনেই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হিসাবে পরিচিত। ওই দুই নেতার অনুগামীদের মধ্যেই মারামারি বাধে। শিবরাম ও হারু-সহ দু’পক্ষের ১৫ জন ধরা পড়ে।
অন্য দিকে, সোমবার সকালে আরামবাগের নৈসরাই বাজারে ফারুক হোসেন নামে এক সিপিএম কর্মীকে ব্রিগেডে বামফ্রন্টের সমাবেশে যাওয়ার ‘অপরাধে’ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হাতে মারধর খেতে হয় বলে অভিযোগ। ফারুকের বাড়ি স্থানীয় কৃত্তিচন্দ্রপুরে। অভিযোগ, সকালে বাজারে বেরিয়েছিলেন তিনি। একটি দোকানে বসে চা খাওয়ার সময়ে কয়েক জন তাঁর উপরে চড়াও হয়ে মারধর করে। এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে গোলমালের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
|
ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলে বাড়ি ফেরার সময়ে এক ব্যক্তির টাকাভর্তি ব্যাগ ছিনতাই করে পালাল দুই দুষ্কৃতী। সোমবার, বেলুড় শ্রমজীবী হাসপাতালের সামনে। পুলিশ জানায়, বালির বাসিন্দা সৌমেন মুখোপাধ্যায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা থেকে ৬০ হাজার টাকা তুলে ফিরছিলেন। শ্রমজীবী হাসপাতালের সামনে মোটরবাইকে এসে ২ দুষ্কৃতী তাঁর হাত থেকে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। সৌমেনবাবু বলেন, “বেঙ্গালুরুতে মেয়ের বাড়ি যাব বলে টাকা তুলতে গিয়েছিলাম। ব্যাগটা ছিনিয়ে ওরা পালিয়ে গেল।” পুলিশ জানায়, ওই ব্যাঙ্কে সিসিটিভি নেই। হাওড়া সিটি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) রশিদ মুনির খান বলেন, “সিসিটিভির ফুটেজ না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। কেউ বাইকের নম্বরও খেয়াল করেননি।” |