তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রের মাথায় ডাস্টার দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল স্কুলের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। শনিবার দুপুরে রায়গঞ্জের কিশলয় কেজি স্কুলের ওই ছাত্র প্রীতম দেব অসুস্থ হয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিভাবকেরা। অভিযুক্ত শিক্ষিকার শাস্তির দাবিতে ঘণ্টাখানেক স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। স্কুলের প্রধানশিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ ভুল স্বীকার করে ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে ছাত্রের পরিবারের লোকজনদের মুচলেকা দিলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
রায়গঞ্জের কলেজপাড়ার বাসিন্দা প্রীতম। প্রীতমের বাবা পলাশবাবু জানান, শুক্রবার দুপুরে ভূগোল শিক্ষিকা দেবযানী দত্ত বনিকের করা প্রশ্ন শুনতে না পেয়ে প্রীতম তা ফের জানতে চাইলে ওই শিক্ষিকা রেগে যান। পলাশবাবুর অভিযোগ, “এর পর ওই শিক্ষিকা ডাস্টার দিয়ে ছেলের মাথার পিছনে আঘাত করেন। গুরুতর চোট লেগে প্রীতম অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্কুল কর্তৃপক্ষই এরপর রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। চিকিৎসার পর স্কুলে ফিরে আমাকে খবর দেন। খবর পেয়ে স্কুলে যাই। অন্যান্য অভিভাবকেরাও বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। কর্তৃপক্ষ এর পর আমার কাছে ক্ষমা চান।” তিনি জানান, স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে প্রীতম ফের অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি করতে শুরু করে। সন্ধ্যায় ফের প্রীতমকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার মাথার সিটি স্ক্যান করানো হয়েছে। এর পর অবশ্য প্রীতমকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
পলাশবাবু জানান, ছেলের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে তিনি থানায় অভিযোগ জানাননি। ভবিষ্যতে যাতে এরকম ঘটনা না ঘটে সে জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে ওই শিক্ষিকার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ দিন অভিভাবকদের বিক্ষোভ চলার সময় প্রধান শিক্ষিকার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন দেবযানীদেবী। তিনি বলেন, “ক্লাসে পড়ুয়াদের শাসন করছিলাম। অনিচ্ছাকৃতভাবে এমন ঘটনা ঘটে যাবে তা বুঝতে পারিনি।” প্রধান শিক্ষিকা অমিতা দত্ত জানান, ঘটনার জন্য দুঃখিত। ওই শিক্ষিকা ইচ্ছে করে এমন ঘটনা ঘটাননি বলেই জানিয়েছেন। ভবিষ্যতে যাতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য স্কুলের সমস্ত শিক্ষিকাকে সচেতন করা হয়েছে। প্রীতমের চিকিৎসার সমস্ত খরচ স্কুল কর্তৃপক্ষ বহন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
|